পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্থারের একজন মিত্রলাভ। ৩১৩ একটা বিধাতার বিশেষ বিধান বলিয়া মনে করিয়াছিল, ঠিক বটে, তবে সে যে কারণে ভাবিয়াছিল তা নয়, আর তা কোন ক্ষেত্রেই বা হয় ?) সে মনে করিল “বুড়ো পাগলাই হচ্ছে একাষের উপযুক্ত লােক, সে ওকে পাখীর ডিম ও ফুলের সন্ধানে অর্ধেক দেশময় হিচড়ে টেনে নিয়ে বেড়াবে, বুননা ইণ্ডিয়ানের মত ছুটতে, সাতার কাটতে, গাছে চড়তে শিখাবে, অথচ একটি মন্দ কথা কখন শিখাবে না, কখন পড়া কামাইও করাবে না। কি বরাত”। সুতরাং তাহার স্বাভাবিক অপেক্ষা কিঞ্চিদধিক সহৃদয়তার সহিত সে তাহার খাদ্যকোষ্ঠে হাত সঁধাইয়া একখানা জারিত শুটকি মাংসের দাপনা এবং বােতল দুই তিন বীয়ার বাহির করিল, এবং আর একসেট পােষাকী রূপদস্তার বাসন যাহা কেবল সমাােেহ কার্যে ব্যবহার হইত, এবং ততক্ষণ আর্থার ও যৌথ-গৃহস্থালীতে এই তাহার প্রথম ইচ্ছা প্রয়ােগের এত সহজ চরিতার্থতায় নিতান্ত উৎফুল্ল হইয়া নিজ পক্ষ হইতে এক বােতল চাটনি ও এক পাত্র মােরব্বা বাহির করিয়া টেবিল সাফ করিল। মিনিট দুয়েকের মধ্যেই সায়মাশ হইতে ফেরত ছেলেদের গােলমাল শুনা গেল, এবং মার্টিন দুয়ারে ঘা দিলে তাহাকে ঘরের মধ্যে লওয়া হইল, সেও তাহার রুটি ও পনির লইয়া আসিয়াছে তখন তিনজন মহােৎসাহে আহারে বসিল, যত না খাইতে লাগিল ততােধিক দ্রুত কথা বলিতে লাগিল কেননা টমের বােতলের বীয়ার ও অতিথি পরায়ণতার গুণে সব সঙ্কোচ মুহুৰ্ত্ত মধ্যে তিরােহিত হইয়াছিল। এই দেখ না আর্থার সহরের আস্ত কুণাে ব্যাঙ, কিন্তু বন জঙ্গল দেখবার ভারি সখ, গাছে চড়ে ঘাড় মটকাবার জন্য মহা ব্যস্ত, আর বাচ্চা সাপের নেশায় ত পাগল হতে বসেছে। মাটিন মহা আগ্রহে ‘ফতর, ফতর’ করিয়া বলিল ভাল কথা, TE :