পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩১৪ ৩১৪ ' টম বাত টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। তােমরা দুজনেই ক্যান্ডিকটের জঙ্গলে যাবে, সেখানে আমি একটা কেলে পাখীর (এক প্রকার ক্ষুদ্র বাজ পক্ষী) বাসা দেখেছি, একটা দেবদারু গাছের উপর, এক জনের সাহায্য না পেলে পেীছতে পারব না। আর তুমি ব্ৰাউন গাছে চড়তে তত ওস্তাদ।” | আন্ধার বলিল “সত্যি সত্যি, চল না ; আমি কখন বাজের বাসা কি ডিম দেখি নাই।” মাটিন বলিল “আচ্ছা, তুমি একবার আমার পড়ার ঘরে চল না, আমি অমন পাঁচ রকম ডিম দেখাব অখন। টম বলিল “হ, পাগলার যে বাড়ীর মধ্যে সব চেয়ে ভাল সংগ্রহ তার আর কথা নেই। তারপর মার্টিন এই অনভ্যস্ত উত্তম উত্তম খাদ্য পানীয় দ্বারা, এবং একজন সাগরেদ পাড়ার সম্ভাবনায় উৎসাহিত হইয়া পক্ষীশাবক আহরণের নিমিত্ত প্রস্তাবিত অভিযানের সম্বন্ধে মহা গল্প যুড়িয়া দিল, এবং প্রসঙ্গক্রমে নানা গুপ্ত তথ্য ও ফাস করিয়া ফেলিল। বাটলিন মৌণ্ডের নিকটে কেমন একটি সােনালী-ঝােটন রেল পাণী আছে, বাবিরােড নামক রাস্তার ধারে কোন এক পুকুরে কেমন একটি ডাহুক চৌদ্দটি ডিমের উপর বসিয়া তা দিতেছে ; ব্রাউনদেভর মিলের ধারে পুরাণ কাটা খালের এক কোণে কেমন একটা মাছরাঙা বাসা বাপিয়াছে, ইত্যাদি নানা কথা বলিল। মাটিন বলিল সে শুনিয়াছে এ পর্যন্ত কেহ মাছরাঙার বাসা আস্ত নিখুঁত অবস্থায় আনিতে পারে নাই, এবং ব্রিটিশ মিউজিয়ম, কি গভর্ণমেন্ট অথবা আর কেই ঘােষণা দিয়াছে যে যে কেহ ডিম-সমেত একটি বাসা অক্ষত অবস্থায় আনিতে পারিবে যে ১০ পাউণ্ড পুরস্কার পাইবে। এই মহা বিস্ময়াবহ সমাচারের মধ্যভাগে, যখন তাহার উৎকর্ণ হইয়া শুনিতে ছিল, এবং ঐ ১০ পাউণ্ড কিরূপভাবে প্রয়ােগ করিবে, মনে মনে মতলব আঁটিতেছিল, এমন সময় দুয়ারে গা • । r , "