পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ । টম ব্রাউনের স্কুলজীবন । অথবা মাষ্টার মহাশয়ের বা নিকটে দণ্ডায়মান কোন ছাত্রের বহি দেখিয়া লইয়া আবৃত্তি করার ঠাট বজায় করিতে না পারি, তাহা হইলে সে ফিরিয়া গিয়া যাহারা ঐরূপ করিতে পারিত তাহাদের সকলের নীচে নামিয়া যাইত; কিন্তু উভয় ক্ষেত্রেই মাষ্টারমহাশয় প্রত্যেকের ‘ভালগাস দেখিয়া দিতেন; এবং রচনার গুণাগুণ অনুসারে নম্বর দিয়া নিজের খাতায় টুকিয়া রাখিতেন। রাগবিতে ‘ভালগাস” এবং ছত্রাবৃত্তি একদিন অন্তর প্রথমপাঠের বিষয় ছিল, অর্থাৎ মঙ্গলবার, বৃহস্পতিবার ও শনিবার ; এবং যেহেতু স্কুল সম্বৎসরে আটত্রিশটি সপ্তাহ থাকিত, অতএব অতি সামান্য বুদ্ধিতেও ইহা স্পষ্টই প্রতীত হইবে যে প্রতি ফৰ্মার শিক্ষককে বৎসরে একশত চৌদ্দটা বিষয় নিব্বাচণ করিতে হইত ; দুইবৎসরে দুইশত আটত্রিশটি, ইত্যাকার। এখন পরিমিত উদ্ভাবনী শক্তি সম্পন্ন ব্যক্তির পক্ষে ইহা একটা সমস্যার কথা, এবং মানবপ্রকৃতি পুনরাবৃত্তি পরায়ণ হওয়ায় ইহাতে আশ্চর্য্য হইবার কিছুই ছিল না যে শিক্ষকমহাশয় কিছু দিন অন্তর একই বিষয় পুনরায় মনােনীত করিতেন। শিক্ষকদিগের এই কদভ্যাস নিরাকৃত ও তিরস্কৃত করিবার উদ্দেশ্যে ছাত্রবুদ্ধি স্বাভাবিক নিপুণতার সহিত এক বিস্তারিত পরম্পরা বা মামুলি পদ্ধতি উদ্ভাবিত করিয়াছিল। প্রায় প্রত্যেক ছাত্ৰই তাহার ভালগাসগুলি একখানি বহিতে নকল করিয়া রাখিত, এবং এই সকল বহ যথানিয়মেপূৰ্বাপরক্রমে এক হইতে অপর ছত্রে হস্তান্তরিত হইত, ফলে এই রীতি যদি এখনও ও বলবৎ থাকিয়া থাকে তা হলে আমার মনে হয় পশারে ছাত্রদের হাতে উত্তরাধিকারসূত্রে এত ভালগাস বহি জমা হইয়া থাকিবে যে মন্দভাগ্য মাষ্টার বেচারী স্বর্গ মত্ত বা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের যেখান থেকেই যে কোন বিষয়ই নির্ধারণ করুন না কেন, তাহারা সে সম্বন্ধে অবিলম্বে ৩,৪ নং ভালগাস লইয়া হাজির করিবে। H ।।,