পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পক্ষিবিলাসী। ৩২ উহাদের একহাত শিখাইয়া দিতে পারি কিনা। সে ইতিমধ্যে সর্দারের পদ গ্রহণ করিয়া বসিয়াছে, তাহার এক বগলে চড়ন কাটা লপটান, আর এক বগলে ‘পাখী-ঢিলানিয়া’ থলী, আর জেবা ও হাট বড়ীর কৌটা, পেজাতুলা এবং আর ও নানা খুটিনাটিতে ভর্তি, সে খুব লম্বা লম্বা পা ফেলিয়া সকলের আগে আগে চলিল। আর তিন জনের প্রত্যেকের হাতে একটি করিয়া পাখী-চিলানিয়া থলী, আর ইষ্ট তাহার কুলখানি ও সঙ্গে লইয়াছিল। | তাহারা তিন চারিটা ক্ষেত বিনা বাধায় অতিক্রম করিলে পর আর্থার পিছাইয়া পড়িতে লাগিল, টম তাহা দেখিয়া চীৎকার করিয়া মার্টিনকে একটু সবুর করিতে বলিল, “আমরা ত আর ‘খরগােষ কুত্তাইয়ে’ বেরই নি, অত হানফানানির দরকার কি ? “ঐ যে জঙ্গল” বলিয়া মার্টিন একটি চালুর মাথায় দাড়াইল, উহার তলায় ল-ফোর্ড নামে একটি সুতী; বিপরীত দিকের ঢালের মাথায় আঙ্গুল দেখাইয়া বলিল এই এ ধারের বড় বড় দেবদারু গাছ গুলাের মধ্যে একটায় বাসাটা আছে। আর ঐ সুতীর ধারে একটা বিলের পাখীর বাসা আমি জানি, ফিরবার পথে দেখে আসব অখন। জঙ্গল দেখিয়া আর্থার উৎসাহিত হইয়া উঠিল এবং বলিল “আহা না, এখন থেমাে না, এগিয়ে চলল”, সুতরাং তাহারা আবার পা চালাইয়া, সুতী পার হইয়া, ঢালুর উপর দিয়া উঠিয়া শীঘ্রই জঙ্গলের মধ্যে প্রবেশ করিল। এখানে তাহারা যথাসম্ভব নিঃশব্দে চলিল, পাছে আগলদার বা অন্য কোন শত্রু নিকটভিতে থাকে, এবং শেষে একটা উচু দেবদারু (ফার। গাছের গােড়ায় আসিয়া দাড়াইল, উহারই মাথায় মার্টিন গর্বের সহিত তাহাদের অন্বেষণের লক্ষ্য সেই কেষ্ট্রেলের বাসাটি দেখাইল। ।