পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩১ পক্ষিবিলাসী। খানেক বিশ্রাম করিয়া মার্টিন সসট্‌ করিয়া উপরে উঠিয়া গেল। আর্থার সভয় আগ্রহে স্থির দৃষ্টিতে দেখিতে লাগিল। সে জিজ্ঞাসা করিল “এতে খুব বিপদের সম্ভব নয়? টম বলিল “মুছলমে নয়, যদি বেশ বাগ করে ধরতে পার, ত লাগবার কথা নয়। প্রত্যেক ডালটি বেশ করে টেনে দেখ, ভর সয় কিনা, আর বস্ উঠে যাও।” । IF | মার্টিন এইবার ছােট ডালপালার মধ্যে বাসার কাছেই আসিয়া পৌছিল, আর বুড়াে পাখীটা বেগে বাসা ছাড়িয়া উর্ধে উঠিল এবং সেখান থেকে অনধিকার প্রবেশীকে লক্ষ্য করিতে লাগিল। সে হাঁকিয়া বলিল “হাঁ, ঠিক চারটে ডিম আছে।” “সব কটা নিয়ে এস, তা হলে জনাজাতের একটা করে হবে” বলিয়া ইষ্ট চীৎকার করিয়া উঠিল। টম বলিল “তা নয়, একটা রেখে এস তা হলে পাখীর মাটা আর কিছু মনে করবে না।” আমরা ছেলেদের মধ্যেই এই ধারণা ছিল যে পাখীরা গণিতে জানে না এবং তুমি একটি ডিম রাখিয়া আসলেই তাহারা সন্তুষ্ট। আহা, সেই ধারণাই যেন ঠিক হয়। মার্টিন অতি সন্তর্পণে একটি করিয়া ডিম দুই বাক্সে এবং তৃতয়টি মুখের মধ্যে পুরিল, কেননা তাছাড়া রাখিবার তেমন নিরাপদ জায়গা আর ছিল না, এবং তারপর রাস্তার বাতি-জ্বালানিয়ার মত দ্রুত নামিয়া আসিল। ভূই থেকে দশ ফুট পর্যন্ত ভালয় ভালয় গেল, কিন্তু তারপর গুড়ি মােটা হওয়ায়, তাহার হাতের বাঁধন ক্রমশঃ শিথিল হইতে লাগিল, এবং অবশেষে সে সড়াৎ করিয়া পিছলাইয়া হুড়মুড় করিয়া ঘাসের উপর চিৎপাত হইয়া পড়িল এবং সেই ঝকানিতে বড় ডিমটা মুখের মধ্যে