পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পক্ষিবিগাসী। টম সেটাকে সাবধানে শুকিতে শুকিতে বলিল “আমার মনে হয় এরি মধ্যে এটা দোসা হয় উঠল, তাড়াতাড়ি সেরে নেওয়া দরকার।” “তা যেন হল, কিন্তু এটাকে রাঁধব কোথায়! হলঘরে কি দরদালানে ত করা চলবে না, আর আমাদের যে বনাম তাতে আমরা ত যেখানে সেখানে হাঁস রােষ্ট করে বেড়াতে পারি না।” “আঃ এই জানােয়ারটার হাত থেকে কি করে নিষ্কৃতি পাই” যলিয়া টম দারুণ বিরাগের সহিত সেটাফে টেবিলে আছড়াইয়া ফেলিল, আর দুএকদিন বাদে ইহা স্পষ্টই প্রতীত হইল যে ওটাকে কোন রকমে সরাইয়া ফেলা চাইই, কাযেই সেটাকে বাদামী কাগজে মুড়িয়া, সিলমােহর করিয়া একটা খালি পড়ার ঘরের দেরাজে রাখিয়া দিল, তারপর ছুটীর সময় অধিকারীণী যখন সেটা দেখিতে পাইলেন সে এক বীভৎস ব্যাপার! তারপর তাহারা আর শিকারে যায় নাই, কিন্তু অপরে গিয়াছিল, এবং সেজন্য জোতদারবীর মনে মনে বড় ক্ষুন্ন ছিল, এবং এবার একজনকে ধরিতে পারিলেই তাকে বিধিমতে শিক্ষা দিবে বলিয়া বদ্ধপরিকর হইয়াছিল। সুতরাং সে আর তাহার রাখালেরা জাফরির আড়ালে গুড়ি মারিয়া বালকের দল অন্যমনস্কভাবে আসিতেছে লক্ষ্য করিতেছিল। | সারা বছরের মধ্যে ঠিক এই সময়শিরে কেন যে ঐ বুড়াে পেরুটা বাহিরে বেড়ার ধারে বসিয়াছিল কে জানে? পেরুদের দস্তুরই ঐ, আর পেরুই বা কেন, মানুষ বল, পশু বল বা আর যা কিছু বল, যখনই কাহাকে দিয়া কোন অনিষ্ট হ’বার হয়, তখন সে ঠিক সময়ে আসিয়া হাজির হয়। সে যা হক, ইষ্টের ঠিক নাকের সামনেই সেই ধাড়ী পেরুটা মাথা চাড়া