পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1 / •

1 . টম ব্রাউনের স্কুলজীবন । দিয়া উঠিল, এবং উঠিয়াই তারস্বরে “কে আর কে আয় হবে দে-দৌড়। অপরের তিনজনের যে কেহ হয়ত এই প্রলােভন সামলাইতে পারি, কিন্তু ইষ্ট প্রথমেই তাহার হাতের ঢিলটা পাখীটার দিকে ছুড়িয়া মারিল, এবং উহাকে তাড়াইয়া ফের বেড়ার ভিতরে ঢােকাইবার জন্য ছুটিয়া গেল। সে কৃতকাৰ্য্য হইল, তখন আর কি, সকলে মিলিয়া প্রাণপণে লাগিয়া গেল, আর মহাকোলাহল করিয়া বেড়ার এধার ওধার করিয়া ছুটাছুটি করিতে লাগিল, আর সেই সঙ্গে সেই কেঁয়া কেয়া শব্দ ক্রমশ তীব্রতর ও ক্ষীণতর হইয়া উঠিল। ইতিমধ্যে সেই জোতদার আর তাহার দুইজন মুনিষ জাফরি টপকাইয়া, গাছ-বেড়ার ধারে ধারে গুড়ি মারিয়া, ঘটনাস্থলের দিকে অগ্রসর হইতেছিল। তাহারা মার্টিন থেকে এক ঢিলের পাল্লার মধ্যে আস জস হইয়াছে, মার্টিন তখন সেই অলক্ষণে’ পেৰু তাড়নয় মত্ত, এমন সময় টম তাহাদের দেখিতে পাইল, পাইয়াই, “চাষা, চা, সাবধান তাের ধারে! পাগলা সামনে চেয়ে দেখ !” বলিয়া চীৎকার করিয়া আর্থারকে সাপটাইয়া ধরিয়া মাঠ ভাঙ্গিয়া রাগবির দিকে চোচা দৌড় দিল। সে যদি একা থাকিত তাহা হইলে আর সকলের সঙ্গে একটা হেস্তনেস্ত কি হয়। দেখিবার জন্য দাড়াইত, কিন্তু এখন তাহার বুক দমিয়া গেল, আর সব সাল চলিয়া গেল। আচার্যের সামনে পালিত পক্ষী চুরির অপরাধে আর্থারের সঙ্গে একত্রে চালান যাওয়ার কথা ভাবিতেই তাহার প্রাণ উড়িয়া গেল এবং ছুটিতে গিয়া পায়ের তেজ যেন অর্ধেক মরিয়া আসিতে লাগিল। যাই হােক, যদি কোন ছেলে আত্মরক্ষায় সক্ষম হয় তা সে ইষ্ট এবং মাটিন, তাহারা পশ্চাদ্ধাবকদের সঙ্গে স্কুল কাটিয়া, বেড়ার ফাক দিয়া গলিয়া, টা ও আর্থারের পিছন পিছন নক্ষত্র বেগে ছুটিয়া আসিয়া । P. T