পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•• টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। শােনছােকরা যে তােমার মুৰ্গীর চেষ্টার যায়নি এর আর কোন সন্দেহই থাকিতে পারে না”। “আমি বলছি আমি ওদের দেখছি। আপনি কে বট, আমি জানতে চাই।” হােস বলিল “সে খোঁজে তােমার কাষ নেই, জোতদার। উচিত কথা বলতে কি-তােমার লজ্জা নেই তাই তুমি অতগুলাে পাখী অমনি করে ছেড়ে রেখে দিয়েছ, আগলাবার একজন লােক পর্যন্ত রাখনি, আবার তাও ইস্কুলের এত কাছে। তােমার যেমন কর্ম তােমার সমস্ত পাখী চুরি যাওয়া উচিত। তুমি যদি এদের নিয়ে আচার্যের কাছে যেতে চাও, চল, আমিও সঙ্গে যাব, আর আমার যা বক্তব্য তাও আমি কে বলব ? | জোতদার ভাবিল বুঝি হােন্স একজ মাষ্টার হবে, তা বাদে সে ভেড়ার পাল ফেলিয়া আসিয়াছে, ফিরিতে হইবে ! দৈহিক শাস্তির কথা ছাড়িতেই হইল, সে দিকে আশঙ্কা বিস্তর। সুতরাং সে ক্ষতিপূরণের ইঙ্গিত করিল। শুনিয়া আর্থার লাফাইয়া উঠিল, যা চায় দিতে স্বীকার ; আর জোতদার ও অমানি পেরুটায় দর আপগিনি হাঁকিল। দােতারের কবল হইতে মুক্ত হইয়া ইষ্ট বলিয়া উঠিল “আধগিনি”। বেড়ে যা হােক। বাড়ীটার গায়ে একটু আঁচড়ও ত লাগেনি, আর বয়স ত সাত বছরের নীচে নয় ; মাংস ত নয় যেন চাবুকের দড়ী; মরে গেলেও যদি আর একটা ডিম পাড়তে পারে ত কি বলেছি।” * অবশেষে সাব্যস্ত হইল যে তাহারা জোতদারকে দুই শিলিং ও তার দুইজন লােককে একশিলিং দিবে; এবং ব্যাপারটা সেই ভাবেই নিস্পত্তি হইলে টম প্রাণের মধ্যে এক অনির্বচনীয় আর বােধ করিল। আচাৰ্য যে কি ভাবিবেন এই চিন্তায় সে মরমে মরিয়া ছিল, একটি কথা। । ।।