পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৪ • - ।

----

। ।। । পক্ষিবিলাসী। পর্যন্ত বলিতে পারে নাই। অনন্তর বালকের দল একত্রে চলাপথ ধরিয়া রাগবি অভিমুখে রওনা হইল। হােস ইস্কুলের মধ্যে একজন উৎকৃষ্ট ছাত্র, সে এই সুযােগের যথােচিত সদ্ব্যবহার করিতে চেষ্টা করিল। সে বলিল “দেখ ছােকরা মনে রেখাে, এ যাত্রা গােযােগ থেকে নিষ্কৃতি পেলে, ভালকথা, কিন্তু খবরদার, আর কখলে জোতদারের খামারের দিক যেও না বলছি।” “সকলের নিকট হইতে প্রচুর প্রতিশ্রুতি, বিশেষত ইষ্টের। উপদেষ্টা বলিতে লাগিলেন “দেখ, আমি তােমাদের কোন প্রশ্ন করছি না, কিন্তু আমার যেন মনে হয় যে তােমাদের মধ্যে কেউ কেউ ইতিপূর্বে এর মুর্গীর ছানার চেষ্টায় গিয়েছিল। এখন অন্যের মুর্গীছানা মিলিয়ে কাত করে কুড়িয়ে নিয়ে পালান হচ্ছে চুরি। কথাটা শুনতে কটু, কিন্তু শাদা ইংরেজীতে তাই বলে। যদি মুরগীছানাগুলাে মরা হত, ও দোকানে সাজান থাকত, তাহলে নিতে না জানি, যেমন গ্রিফিথসের চুপড়ী থেকেও কখন আপেল তুলে নাও না, কিন্তু ছুটন্ত মুরগীছানা বা গাছের আপেলের সহিত দোকানের সেই সেই জিনিষের বাস্তবিক কোন প্রভেদ নেই। এ সম্বন্ধে আমাদের নীতিজ্ঞান আর একটু পরিষ্কার হলে ভাল হত। স্কুলের ছেলেদের এই যে সব ভেদাভেদ বুদ্ধি, ইহার মত অনিষ্টকর আর কিছুই নাই। ইহাতে ভালয় মন্দয় সব একাকার করিয়া ফেলে, এবং আমাদের মধ্যে এমন সকল জিনিষের সমর্থন করে যার জন্য গরীবের ছেলেকে জেলে পৰ্য্যন্ত যেতে হয়। এবং সাধু হােস সেদিন বাড়ী ফিরিবার পথে অনেক সৎপ্রসঙ্গের আলােচনা করিয়াছিল এবং গানের কথায় বলিতে গেলে “যুক্তিমন্ত্র দিছল তাদের কানে। এবং তাহার এই সদুপদেশ সকলেরই মনের মধ্যে অল্পাধিক প্রবেশ '