পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৩ =

লড়াই। পৌছলেন তখন নয়। আমাদের বাড়ী আর টমসনের বাড়ীর মধ্যে বড় রেষারেষি আছে, তাই এ লড়াইটে অসময়ে বন্ধ করে দিলে, অথবা একজন যদি বেশী হেরে যেত তা হলে, আরও লড়াই না হয়ে থাকত না”। আচাৰ্য্য বলিলেন “তা যেন হল, ব্রুক, কিন্তু ভাবে কতকটা এই রকমই বােধ হয় না যে লড়াই বন্ধ করতে তুমি বিবেচনা খাটাও কেবল তখনই যখন দেখ যে স্কুল-বাড়ীর ছেলে হেরে যাচ্ছে।” স্বীকার করিতে হইৰে যে ব্রুক বিশেষ ফাপরেই পড়িল। গোলঘরে দুয়ারে দাড়াইয়া আচাৰ্য বলিলেন “যাক, মনে রেখে এ লড়াই আর না যেন চলে—তুমি তা দেখবে। আর ভবিষ্যতে লড়াই দেখবা মাত্ৰ থামিয়ে দিবে এই আমি চাই, বুঝলে ” “ষে অজ্ঞে, বলিয়া ব্রুক টুপী ছুইল এবং আচার্যের পশ্চাতে গােলঘরের দরজা বন্ধ হইতে দেখিয়া দুঃখিত হইল না। ইতিমধ্যে টম ও তাহার গোড়া পক্ষাবলম্বী কয়েকজন হারােওয়েলের ঘরে আসিয়া জুটিয়াছিল, এবং স্যালি তাহাদের অবেলার চায়ের বােগাড়ে ব্যস্তভাবে ঘােরাফেরা করিতেছিল, আর ততক্ষণ ষ্টাম্পকে টিউনামক কসাইয়ের কাছ থেকে একখানা কাঁচা মাংস আনিতে পাঠান হইয়াছিল, কেননা টমের চোখ সদ্য সদ্য আরাম করে দেওয়া চাই, যাতে সকাল বেলায় তাহাকে দেখায় ভাল। তাহার বিশেষ কিছুই হয় নাই কেবল যা একটু দেখতে কষ্ট হইতেছিল। কান ভো ভো করিতেছিল, এবং একটা বুড়া আঙ্গুল মােচড়াইয়া গিয়াছিল, যাহাতে ঠাণ্ডা জলপটা লাগাইয়া সে লড়াইয়ের সম্বন্ধে তুমুল কলরবে যে নানারূপ জল্পনা কল্পনা চলিতেছিল তাহাই শুনিতেছিল; অর্থাৎ কিনা উইলিয়ম আর একবার আছাড় খাইলেই হার মানিত (যা টম মােটেই বিশ্বাস করে নাই); এত দেশ । । I