পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। পড়ার ঘরে ফিরিয়া আসিল। তারপর যখন ঘরে বসিয়া সে চারিদিকে একবার তাকাই, দেখিল যে আর্থারের হ্যাট, ক্রিকেটখেলার কে পেরেকে ঝুলিতেছে, দেখিল যে তাহার সেই সুচারু গৃহসজ্জা ঠিক সেইমতই রহিয়াছে, একতি। ও নড়চড় হয় নাই, তখন তাহার গণ্ডদেশ প্লাবিত করিয়া দরবিগলিত ধারায় অশ্রু প্রবাহিত হইল, কিন্তু সে অ শা, কল্যাণ-পূত অশ্রু, এবং সে আপনার মনে সেই কথার পুনরাবৃত্তি করিয়া বলিল, “হাঁ, জর্ডির চোখ খুলে গেছে -- সে জেনেছে যে সেই বাঁচা কাকে বলে যাতে মৃত্যু অশেষ কল্যাণের হেতু হয়। কিন্তু আমি জেনেছি কি? হা ভগবান, তাকে হারালে আমি কিয়ে থাকব?” অতি দুঃখে সে সপ্তাহ কাটিল। আর কোন ছেলের অসুখ করিল না, কিন্তু আর্থারের অবস্থা দিন দিনই খারাপ বলিয়া খবর আসিতে লাগিল, এবং তাহার মাতা সপ্তাহের প্রথম ভাগেই আসিয়া পৌছিলেন। টম আর্থারকে দেখিতে পাইবার জন্য অনেক আকিঞ্চন করিয়াছিল, কয়েকবার রােগী-ঘরে ঠেলিয়া উঠিবারই চেষ্টা করিয়াছিল, কিন্তু প্রতিবারই ভাণ্ডারিণীর সামনে পড়ায় পারিয়া উঠে নাই, অবশেষে ভাণ্ডারিণী আচাৰ্য্যকে বলিয়া দেওয়ায় তিনি তাহাকে ডাকাইয়া সদয়ভাবে কিন্তু বিশেষ দৃঢ়তার সহিত ঐরূপ চেষ্টা করিতে নিষেধ করিয়া দিয়াছিলেন। ঐ মঙ্গলবার টমসনের সমাধি হইল। সমাধি প্রার্থনা সকল সময়েই নিরতিশয় সান্ত্বনাপ্রদ ও মহান, বিশেষ যখন উহা বালকের সমাধির উপর তাহার সহচরবর্গের সমক্ষে পঠিত হয় তখন উহা এতাদৃশ মর্মস্পর্শী হইয়া উঠে যে তাহা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। টম শুনিয়া প্রাণে অনেক আরাম পাইল এবং অনেক নূতন চিন্তা, নুতন পাকা তাহার