পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ণে বরের প্রকোপ ৩৭৯ করবে, এখন ছুড়তেও পারবে, আগেকার মত ছুড়তে গেলে আচাৰ্য্যকে সমস্তগুলো কেড়ে আনবার জন্য বুড়ো টমাসকে পাছে পাছে পাঠাতে হবে । | আর্থার সেই বুমেরাঙের ঘটনার কথা মনে করিয়া হাসিল, কিন্তু পরক্ষণেই গম্ভীর হইয়া বলিল “সে সমস্ত দ্বীপবাসীকে খৃষ্টধর্মে দীক্ষিত করবে বল্লাম।” ‘হাঁ, যদি তার আগেই ওটাকে কোন রকম বারুদে না উড়িয়ে দেয়।” “টম তােমার মনে পড়ে না, সে বলত আমাদের যখন তালাবন্ধের ঘণ্টা পড়ে দাঁড়কাকদের মধ্যে ঐ সময় নামডাক বা প্রার্থনা বা ঐ রকম কিছু একটা আছে, আর তুমি ও ইষ্ট সেজন্যে কত হাসতে আর ঠাট্টা করতে।” আর্থার টমের হাস্যোজ্জ্বল চোখের দিকে গম্ভীর ভাবে তাকাইয়া বলিতে লাগিল “আমার এখন খুব মনে হয় সে ঠিক কথাই বলত। আমি যতদিন এইখানে বিছানায় পড়ে আছি, প্রতি সন্ধ্যাবেলায় তাদের বেশ করে লক্ষ্য করেছি, তুমি বল্পে বিশ্বাস করবে না, তালাবন্ধের সময় বরাবর তারা সত্যি সত্যি সকলে এসে গাছের ডালে বসে, তারপর সকলে সমস্বরে কা-কা করে ডেকে উঠে, তারপর একটু থামে, তারপর একটা বুড়ো কাক, অথবা ভিন্ন ভিন্ন গাছে দু তিনটা, একায়েক তান ধরে, তারপর আবার সকলে ছড়িয়ে পড়ে, আর যতক্ষণ বাসায় এসে বিশ্রাম করবার সময় না হয়, উড়ে উড়ে বেড়ায়, আর যেমন তেমন করে চীৎকার করে।” + টম উহাদের দিকে তাকাইয়া বলিল “কি জানি, কালা মুখােরা কথা কইতে জানে কিনা, তা হলে ত ইষ্টকে আর আমাকে গাল পেড়ে নাশ করবে, আর আচাৰ্য্যকে দুই হাত তুলে আশীর্বাদ করবে, তিনি গুলতি মারা বন্ধ করে দিয়েছেন বলে।”