পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৮ স্কুলে জ্বরের প্রকোপ। মেহনতের কথা ভাবিয়া টম কেঁখাইয়া উঠিল। বলিল “হ্যা দেখ, খােকা, আর ছুটি হবার মাত্র পাঁচ হপ্তা আছে, এ ষষমা’টা আমি যেমন করে আসছি, করি। পরে না হয় আচাৰ্য্যকে সব বলব, না হয় তুমিই বলে।” আর্থার জানালা দিয়া বাহিরের দিকে তাকাইল, সন্ধ্যার ধূসরিষা ঘনাইয়া আসিয়াছে, চারিদিক নিস্তব্ধ। সে মৃদুস্বরে সেই পূর্ব কথার পুনরাবৃত্তি করিল, “হে প্রভু পরমেশ্বর, এই একটি বিষয়ে তােমার দাসকে মার্জনা করিও যে যখন আমার মনিব রিমনের গৃহে উপাসনা করিতে যাইবে, এবং অবলম্বনস্বরূপ আমার হস্তধারণ করিয়া যাইবে,. রিমনের গৃহে আমাকেও মস্তক অবনত করিতে হইবে, হে প্রভু পরমেশ্বর, তখন যে রিমনের গৃহে আমি মস্তক অবনত করিব সেজন্য তােমার দাসকে তুমি মার্জনা করিও।” এ বিষয়ে আর একটি কথাও হইল না, দুজনে পুনরায় নিস্তব্ধ হইয়া রহিল-সেই অশেষ কল্যানকর স্বল্পকালস্থায়ী নিস্তব্ধতা যাহার মধ্যে অনেক সময় এমন সকল সঙ্কল্প স্থিরীকৃত হয় যাহার দ্বারা একজনের সমস্ত জীবন অনুরঞ্জিত হইয়া যায়। টমই প্রথম মৌন ভঙ্গ করিল। “তােমার বড় অসুখ করেছিল, জর্ডি না?” কথঞ্চৎ ঔৎসুক্য কঞ্চিৎ সভয় বিস্ময়ের সহিত টম এই কথা জিজ্ঞাসা করিল—তাহার মনে হইতেছিল তাহার বন্ধু কোন, অজানা দেশ বা লােকে গিয়াছিল যাহা সে কোনরূপে কল্পনাই করিতে পারে না, আর সেই সঙ্গে গত সপ্তাহে যে সব চিন্তা তাহার মনে । উদিত হইয়াছিল তাহার স্মৃতি তাহার মনৰে রিপূর্ণ করিয়া তুলিল। “হা খুবই। আমার বিশ্বাস আচাৰ্য দুজবেছিলেন যে আমি আর বাঁচলাম না। গত রবিবারে তিনি আমাকে সেকমেন্ট দান করে ছিলেন, রােগের সময় তিনি যে কি বস্তু তা বলে বােঝাতে পারি না | 11

1 | | 1},

-

। ।

২৫