পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্কুলে অরের প্রকোপ। ৩৮৯ সকল রকম সাহচর্য্যের বাহিরে, এমন কি সেই দারুণ বুদ্ধিবিকারের মধ্যে ভেবেছিলাম যীশুখৃষ্টের ও আয়ত্তের বাহিরে। তুমি সাহসী ফুর্তিমান, শক্তিমান, তুমি সে যন্ত্রণার ধারণাই করতে পারবে না, ভগবানের কাছে প্রার্থনা কর কখন যেন না করতে হয়, প্রাণপণে সে প্রার্থনা কর।” আর্থার থামিল, টম ভাবিল শান্তির দরুণ। কিন্তু একদিকে আর্থারের শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা, অন্যদিকে সভয় বিস্ময় ও আরও শুনিবার জন্য আগ্রহ, এই দুয়ের মধ্যে পড়িয়া সে একটি কথাও জিজ্ঞাসা করিতে পারিল না, অথবা নড়িয়া যে একটু সাহায্য করিবে তাহাও পারিল না। পরক্ষণেই আর্থার আবার বলিতে লাগিল, কিন্তু এখন সম্পূর্ণ শান্তভাবে ও ধীরে ধীরে—“আমি জানি না, আমি এই অবস্থায় কতক্ষণ ছিলাম। একদিনের চেয়ে যে বেশী তা মনে আছে, কেন না আমি সম্পূর্ণ সজ্ঞান ছিলাম, বাহিরের জীবন সমভাবেই অনুভব করছিলাম, ওষুধ খাচ্ছিলাম, মার সঙ্গে কথা বলছিলাম, আর তারাও যা বলছিলেন শুনছিলাম। কিন্তু সময়ের গতির দিকে তেমন লক্ষ্য। ছিল না, আমি ভেবেছিলাম আমার পক্ষে সময়ের শেষ হয়ে গেছে, এবং আমার সামনে রয়েছে কেবল সেই সমাধি। এইভাবে গত রবিবার সকালে যখন সেই সমাধির মধ্যে শুয়ে আছি, মনে হচ্ছে অন অনন্তকালের জন্য একা, তখন সেই অন্ধতমসাবৃত প্রাণহীণ দেওয়াল যেন দুফাকে বিদীর্ণ হয়ে গেল, এবং কি এক মহাশক্তি, কোন এক জীবন্ত অমিত বলশালী পুরুষ, আমাকে সবলে উর্ধে আকর্ষণ করে আলােকের মধ্যে বহন করে নিয়ে গেল। টম তােমার কি ইজেকিয়েলের কেতাবের সেই প্রাণীসংঘ ও চক্রাবলীর কথা স্মরণ আছে? এও ঠিক + এ