পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| |

৩৯২ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। হয়েছে, সমস্ত নিস্তব্ধ ও শীতল, মা আমার বিছানার পাশে চেয়ারে গাঢ় নিদ্রায় অভিভূত, কিন্তু ইহা ত আমার কেবল একটা স্বপ্ন নয়। তারপর আমি গাঢ় নিদ্রায় মগ্ন হলাম এবং একেবারে বৈকালিক গির্জার পর জাগলাম, তখন আচাৰ্য্য এসে আমাকে সেক্ৰামেন্ট দান করলেন, পূর্বেই সে কথা বলেছি। আমি তাঁহাকে ও মাকে বললাম আমি সেরে উঠব, আমি মনে জানলাম উঠব, কিন্তু কেন তা আমি বলতে পারি না।” মিনিট খানেকের পর আর্থার মৃদু স্বরে বলিল “টম এখন বুঝলে কি আমার প্রিয়তম বন্ধুর মৃত্যুতে ও কেন আর আমি শােক করতে পারি । ওযে কেবল জ্বর বা ব্যায়ামের ফল তা হতেই পারে না—তা নয়ই। যদি সত্য না হত ভগবান এত স্পষ্ট করে আমায় দেখাতেন না। আমি এখন এর মর্ম সব বুঝতে পারছি না—বুঝতে আমার সারা ীবন বা তার বেশীও লাগবে, এই বুঝতে যে ঐ কাষটা কি।” * আর্থার থামিলে অনেকক্ষণ আর কোন কথা হইল না, টমের কথা কহিবার শক্তি ছিল না, নিশ্বাস লইতেই তাহার ভয় হইতেছিল, পাছে আর্থারের চিন্তার সূত্র বিচ্ছিন্ন হইয়া যায়। তাহার প্রাণ নিতান্তই চাহিতেছিল যে আরও শশানে, এবং প্রশ্ন করে, কিন্তু মিনিট খানেকের মধ্যেই নয়টা বাজিল এবং দুয়ারে একটি মৃদুটোকা তাহাদের ইহসংসারে ফিরাইয়া আনিল। এবং তাহাদের সাড়া না পাইয়া পরক্ষণেই একজন মহিলা বাতি হন্তে ঘরে প্রবেশ করিলেন। তিনি বরাবর সোফার কাছে গিয়া, আর্থারের হাত থানি ধরিয়া তাহাকে চুমাে খাইলেন। “বাপ আমার, তােমার গাটা আবার যেন একটু তপ্ত বােধ হচ্ছে, আলাে আনাও নি কেন? তুমি মেলা কথা কয়েছ, আর অন্ধকারে থেকেছু বলে নাড়ীটা একটু চঞ্চল হয়েছে।” }

  • }