পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৯৪ । ।। [ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন । ।” টম ভাবিল যে বরং সে অবশিষ্ট সমস্ত স্কুলজীবন ধরিয়া প্রত্যেক পাঠের সময় লাঞ্ছিত হইবে সেও ভাল, তবু ত এ অবস্থায় চলিয়া যাইতে পারা যায় না, এবং বসিল। আর্থার তখন বলিল “এইবার আমার জীবনের একটি অতিবড় সাধ পূর্ণ হল, আমি তােমাদের দুজনাকে একত্র দেখলাম।” তারপর আর্থার ডিভনশায়রে তাহাদের দেশের কথা পাড়িল-সেই উজ্জ্বল রাঙা মাটি, গাঢ় সবুজব ডহর ভূমি, বােগ’ মাটির উপর দিয়া প্রবাহিত সরিৎগুলি, ঈষৎ ধূমল বাদামী মুড়ীর মত রঙ, আর সেই সব বিন প্রান্তর বাহার মধ্যে মধ্যে সমুচ্চ, কুহেলি-ঘেরা গণ্ডশৈলনিচয় সমস্ত চিত্রটির এক বিরাট পশ্চাদ্দশ্যের মত দাঁড়াইয়া আছে, সেই সব কথা বলিতে লাগিল; তখন টমও ঈর্ষান্বিত হইয়া তাহার সেই বড় গৌরবের প্রিয় পুরাতন ‘রাজকীয়’ কৌন্টির পক্ষে কোমর বাঁধিয়া দাঁড়াইল, এক উহার স্বচ্ছতােয়া ফটিক স্রোতস্বিনী, সবুজ সুজল ময়দান ও বড় বড় উইলে ও এলম গাছ প্রভৃতির দশমুখে প্রশংসা করিতে লাগিল। আর জননী সেইখানে বসিয়া নীরবে স্নেহ ও আনন্দ বিগলিত হৃদয়ে তাহাদের প্রাণের লীলা উপভােগ করিতে লাগিলেন। ঘড়িতে, পৌনে দশটা বাজিল এবং শুইতে যাইবার ঘণ্টা পড়িল, কিন্তু তাহাদের মনে হইল কথাবার্তা বুঝি এখন ও ভাল করিয়া আরম্ভই হয় নাই। টম ঘীর্ঘ নিশ্বাস সহকারে উঠিল। | সে তাহার বন্ধুত্ব করকম্পন করিয়া জিজ্ঞাসা করিল “কাল সকালে দেখা হবে কি জঙি? আর নাই হােক, তুমি ত আসছে ষষমাহে ফিরছ, আর আমিও ‘রিমনের বাড়ীর কথা ভুলবনা”। | আবারের মাতাও উঠিয়া দুয়ার পর্যন্ত তাহাকে আগাইয়া আসিলেন এবং সেখানে পুনরায় তাহার হাতে হাত দিলেন, এবং পুনরায় সেই গভীর গেহদৃষ্টি, যাহা তাহাকে মন্ত্রমুগ্ধের মত করিয়াছিল, তাহার চক্ষুর সহিত - - ।। ১ ।