পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•• । । 1 + ৪১২ টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। হইবেই; যদি সে বন্ধুত্ব বন্ধুত্ব নামেরই উপযুক্ত হয়। তােমাদের দেখা চাই তােমাদের পরস্পরের হৃদয়ের মূলদেশে অন্তরতম অন্তলে কি আছে, আর যদি সেখানে ঐক্য থাকে তা হইলে সংসারের আর কিছুতেই তােমাদের পৃথক করিতে পারিবে না, অন্ততঃ পারা উচিত সর। ইষ্ট টমের কথা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুইয়াছিল, যেন এই ভয়ে যে পাছে সে বাধা পায় ; অতঃপর সে টেবিলের ধারে খাদ্য হইয়া বসিল, এবং একহাতে মাথা হেলান দিয়া আর হাতে একটা পেন্সিল লইয়া টেবিল ঢাকার উপর ঘােট ঘােট বিধ করিতে লাগিল। একটু পরেই মুখ তুলিয়া চাহিয়া, পেন্সিল নামাইয়া বলিল “অশেষ ধন্যবাদ ভাই, এ বাড়ীতে তুমি আর আধার ছাড়া এমন আর একটি ছেলেও নেই যে আমার জন্য এটা করত।” একটু থাকিয়া পুনরায় বলিল “আমি স্পষ্টই দেখতে পাই, বড় ছেলেদের মধ্যে যারা ভাল তারা আমায় সন্দেহের চক্ষে দেখে, মনে করে যে এটা একটা কাণ্ডাকাণ্ডজ্ঞানবর্জিত লক্ষ্মীছাড়া পাষণ্ড--তাই আমি বটে-বার ঘন্টার মধ্যে এগার ঘণ্টা, কিন্তু বার ঘণ্টর বেলায় নয়। তারপর আমাদের সমবয়সীদের মধ্যে আলাপ করার যােগ্য যারা তারা অবশ্য ঐ গােয় গােড় দেয়, আমার খেলাধুলা ইত্যাদিতে বেশ মেলা-মেশা করি বটে, কিন্তু তুমি আর আখার ছাড়া আর একটি প্রাণী ও জামায় বাইরের আবরণ ভেদ করে আমার ভিতরে কি আছে কোনজিল দেখতে চেষ্টা করেনি, আর তারপর খারাপ ছেলেরা, তাদের ত আমি একবারেই বরদাস্ত করতে পারি নে, তুমি জান। “কিন্তু, হানি, তুমি কি মনে কর না এটা তােমার অর্ধেক মনের আতিক।” । । 1. । I