পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৩১ টম ব্রাউনের শেষ ম্যাচ খেলা। কেমন করিয়া তাঁহাকে নরম-নরম ভােলা বল করিলেন;-কেমন করিয়া সাড়ে বারটার মধ্যে লর্ডসের দল কাবায় হইয়া গেল।-কেমন করিয়া স্কুলের কাপ্তেন তাহার পক্ষকে ভরসা দিবার জন্য প্রথমেই খেলিতে গেলেন, এবং সুন্দর কায়দায় পঁচিশ 'র করিলেন; কেমন করিয়া প্রথম পালার শেষে রাগবি মাত্র চার নম্বর পিছনে ছিল। তারপর চতুর্থ ফৰ্ম্মার স্কুল ঘরে কি জবর খানাই হইয়াছিল, এবং সেই কভরপয়েন্টের মারিয়ে কি চূড়ান্ত সব হাসির গান গাহিয়াছিল, আর তারপর বুড়া এইসল্যাবি কিরকম চমৎকার বক্তৃতা করিয়াছিলেন। কিন্তু আসল কথা আমাদের স্থান সঙ্কুলান হইবে না, সুতরাং তােমরা এ সমস্ত কল্পনা করিয়া লইয়া একেবারে অপরাহ্ন সাড়ে সাতটার সময় আসিয়া উপস্থিত হও, যখন স্কুলপক্ষ দ্বিতীয় বার ব্যাট ধরিয়াছে, পাঁচ উইকেট কাত হইয়াছে আর বত্রিশ রন্ করিতে পারিলেই জিত হয়। দ্বিতীয় পালায় মেরিবনের দল অসাবধান ভাবে খেলিয়াছিল, কিন্তু এখন বাজি বাঁচাইবার জন্য ভূতের মত খাটিতেছে। | হাতার মধ্যে চারিদিকে সুস্থ আনন্দিত জীবনের মেলা বসিয়াছে, কিন্তু আমি যে ক্ষুদ্র দলটির প্রতি বিশেষভাবে তােমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতেছি, তাহারা ক্রিকেট ভূমির দিকে নজর করিয়া ঐ দ্বীপের চালটিতে বসিয়া আছে। সেখানে তিনটি মূর্তি দেখিতে পাইতেছ, দুজন বেঞ্চিতে, আর একজন তাহাদের পায়ের কাছে মাটিতে বসিয়া আছে। প্রথমটি লম্বা, একহারা, শীর্ণ গােছের লােক, ঝকড় ভুরু, মুখে ঝুনা হাসি, দেখিলে পাদ্রি বলিয়া আর সন্দেহ থাকে না। তাঁহার পােষাক পরিচ্ছদ নিতত্ত আলা-টিলা রকমের এবং তাঁহাকে কতকটা নির্জীবের মত দেখাইতেছিল, তাহাতে বিস্ময়ের কোন কারণ নাই, কারণ তিনি সবে মাত্র ছয়সপ্তাহব্যাপী পরীক্ষা কাৰ্য্য সারিয়া উঠিয়াছেন; কিন্তু তিনি এখন দিব্য গা এলাইয়া | -।