পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৩৭ টম ব্রাউনের শেষ ম্যাচ খেলা। একজনকে এগারজনের মধ্যে লােপ পাইয়ে দেয়। সে যে খেলে নিজে জিতব বলে নয়, তার পক্ষ কিসে জিতবে তাই বলে”। | টম বলিল “এটা খুব খাঁটি কথা, আর এখন ভেবে দেখতে গিয়ে বুঝতে পারছি যে ফুটবল বা ক্রিকেট ফাইভস, কি হেয়ার এণ্ড হাউণ্ডল, কি অন্য সব খেলার চেয়ে এত ভাল কিসে, কেননা ওসব থেলার লক্ষ্য হচ্ছে কিসে নিজে সব প্রথম হব, কিসে নিজে বাজি জিতব, আমার দল যে কিসে জিতবে তা লক্ষ্য নয়”। মাষ্টার মহাশয় বলিলেন “তারপর একাদশের কাপ্তেন, আমাদের এই স্কুল জগতে তার পদই বা কি কম। প্রায় আচার্যের পদের মতই কঠিন ; ওতে কৃতিত্ব চাই, অমায়িকতা চাই, দৃঢ়তা চাই, এবং আরও কত বিশিষ্ট সদ্ভাব থাকা চাই, তা আমি হয়ত জানিই না”। টম হাসিতে হাসিতে বলিল “তা আর থেকে কার্য নেই; অন্ততঃ এখন পর্যন্ত নেই, নৈলে জ্যাক র্যাগলসকে গর-পালায় পাঠানর মত বেকুবি আজ করে বসতাম না।” আর্থার সশঙ্কোচে বলিল “না আচাৰ্য এমন কাজ কখন করতেন । তােমার শাসননীতির এখনও অনেক শিখবার বাকি, হে টম।” . “তা বেশ, তুমি তা হলে আচাৰ্য্যকে সেই কথা বলে আমাকে কুড়িবছর পর্যন্ত এখানে রাখাও। আমি নিশ্চয়ই বলছি আমার এখান থেকে যাবার ইচ্ছা নেই।” | মাষ্টার মহাশয় বলিয়া উঠিলেন “আচাৰ্য শাসনকর্তারূপে এই এক দৃশ্য! সম্ভবতঃ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের আমাদের এই ক্ষুদ্র কোণটি যেরূপ নিখুত বিচক্ষণতা ও দৃঢ়তার সহিত শাসিত এমত আর কুত্রাপি নয়। আমি তার অধীনে এখানে কাজ করতে এসেছিলাম বলে দিন দিন বেশী করে কৃতজ্ঞ বােধ করি।” | L + F ।