পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪২ E এ । টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। এতগুঢ় আত্মশ্লাঘা অনুভব করিল যা তিন প্রন্ত প্রথম পুরস্কার পাইয়াও সে করে নাই।। কিন্তু ইহার পরের বল তাহার কাঁচা হাতের পক্ষে অসাধ্য হইল, এবং তাহার তােড়া ছত্রাকারে ছিটকাইয়া পড়িল। নয় বন্ করিতে বাকি, আর খেলিতেও দুজন বাকি-রক্তমাংশের শরীরে আর কত বরদাস্ত হয় না। উইণ্টর খেলায় গিয়া জুটিবার আগেই যে অবিস লর্ডসের দলকে ট্রেণে পৌছিয়া দিবে, হাতার পাশে আসিয়া দাঁড়াইল, এবং মিঃ এইসল্যারি ও টম পরামর্শ করিয়া প্রকাশ করিলেন যে পরের ওভারের পর খেলা বন্ধ বইবে। এবং এই ভাবে এই জবর ম্যাচ শেষ হইল। উইণ্টর ও জনসন তাহাদের ব্যাট বজায় করিয়া ফিরিল। কিন্তু একদিনের ম্যাচ বলিয়া এবং প্রথম পাল্লায় লর্ডসের লােকেরা বেশী অন্ করিয়াছিল বলিয়া তাহাদেরই জিত গণ্য হইল। | কিন্তু এ রকম হাব ত জিতের সামিল,—টম ও স্কুল একাদশের আর সকলে তাহাই ভাবিতে ভাবিতে বিজয়ীদের অমিবসে তুলিয়া দিতে গেল এবং তিনবার সমুচ্চ হর্ষধ্বনি সহকারে তাহাদের বিদায় দিল। যাইবার আগে মিঃ এইসলাবি সকলের সহিত করমর্দন করিয়া টমকে বলিলেন, ‘আমি আপনার একাদশের জন্য আপনাকে সমাদর জ্ঞাপন করছি, এবং আপনি যদি সহরে আসেন আপনাকে আমাদের একজন সদস্যরূপে পাব বলে আশা করি।” | টম ও একাদশের আর সকলে যখন হাতায় ফিরিতেছিল, এবং পূর্বরাত্রির কৃতকাৰ্য্যতায় উৎসাহিত প্রত্যেকেই আর একদফা গ্রাম্যাচের ফরমাইশ করিতেছিল, তখন সেই যুবক মাষ্টার হাতা ত্যাগ করিয়া যাইবার মুখে টমকে দাঁড় করাইয়া সাড়ে আটটার সময় । ।