পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরভােজ। সেটি কোন পুরাকালে এক বিলাসী ব্রাউনের দান, গত শতাব্দীর মধ্যভাগে সে যাহার পরিচাকরূপে নিযুক্ত ছিল। এই পরিচ্ছদটির প্রতি মাষ্টার টমের অনন্যসাধরণ ভক্তি ছিল, এবং কিঞ্চিৎ ভয়ও যে ছিল না এমন বলা যায় না। বাস্তবিক সেনােয়াকে কিঞ্চিৎ সভয় সভ্রমের চক্ষে দেখিত, এবং যখন ঐ বুড়া পিতৃলােকে গমন করিল তখন সেই পরচুলার টুপীর ইতি হইল ভাবিয়া কিঞ্চিৎ আনন্দ অনুভব না করিয়া থাকিতে পারে নাই। বলিল “বেচারি বুড়াে নেয়া মরেগেছে, চলেগেছে, টমব্রাউনের বড় দুঃখু হয়েছে, ওকে ‘কফিনের’ ( শবাধারের মধ্যে পুরে দাও, পরচুলাে টুপী শুদ্ধ, সবশুদ্ধ পুরে দাও। কিন্তু বুড়া বেঞ্জি তাহার ছােট মনিবটির যথার্থ আনন্দ ও আশ্রয়পল ছিল। নােয়ার পাশে তাহাকে মুলা বলিলেই হয়। সবে সত্তর এখনও পুরে যাই। শুনয়, অপ্রিয় সদয় হৃদয় এই বৃদ্ধ, ভেলের ষাট বছরে গালগল্পের একটি খনি, এবং কি ছেলে, কি বুড়া, সকলকেই, বিশেষত ছেলেদের কোন না কোন উপায়ে সাহায্য করিবার জন্য সদাই প্রস্তুত। সেই প্রথম পিনটি বাকাইয়া টমকে পেলি ব্রুক হইতে তাহার প্রথম ষ্টিকেলব্যাগ মাছটি শিকার করিতে সাহায্য করিয়াছিল। পেবৃলি ব্রুক একটি ছােট স্রোতস্বিনী, ঐ গ্রামের মধ্য দিয়া বহিয়া গিয়াছে। এই যে প্রথম ষ্টিকেলব্যাগ মাছটি উহা এক আশ্চর্য জীব। কি অপরূপ তাহার নীল ও লাল কানকা! টম তাহাকে আমরণ একটি ছােট পাত্ৰে জীয়াইয়া রাখিয়াছিল। টম সেইদিন হইতে মাছুয়া হইয়া। উঠিল। এই প্রথম ষ্টিকেলব্যাগ ধরিবার মাস খানেকের মধ্যেই, বেঞ্জিচ্যারিটীকে অগ্রাহ্য করিয়া টমকে একেবারে কেনালের ধারে লইয়া গিয়াছিল, এবং সেখানে সারা বিকাল মাতামাতি করিয়া হারা দুজনে তিন চারিটা আমাছা এবং একটা পার্চ (ওজনে প্রত্যেকটা প্রায়