পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পভােজ। শরতের। * ৪৭; কেবল আমার বড় ইচ্ছা তাের জন্যে কিছু মণিহারী জিনিষ কিনি, তবে বেঙের গায়ে পালক, আর আমার হাতে টাকা সমানই সচ্ছল কিনা, তাই।” | র্যাকেল মহা ঝঝের সহিত বলিল “আমি যা বলি তাই মনে রেখ বলছি, আর তােমার ঐ মণিহারী ফণিহারী রেখে দাও।” টম মনে মনে প্রতিজ্ঞা করিল যে তার দু শিলিংয়ের যা অবশিষ্ট আছে লাঠি খেলার পর তাহা সব উইলিয়মকে দিয়া ফেলিবে। আজ জো উইলিসের জোর বরাত, ইহার পরের পাল্লায় তাহার সহজেই জিত হইল, অথচ ভেড়িওয়ালাকে তাহার প্রতিপক্ষের মাথা ফাটাইতে বিলক্ষণ বেগ পাইতে হইল। তারপর যখন জো এবং ভেড়িওয়ালার পালা আসিল এবং দর্শকমণ্ডলী আশা করিতে লাগিল যে এবার জোয়ের মাথা ফাটবে তন ভেড়ি ওয়ালা প্রথম চক্রেই পা পিছলাইয়া রেলিংএর উপর পড়িয়া এমন চোট পাইল যে বুড়া জোতদার তাহার হাজার জিদ স্বত্বেও তাহাকে খেলিতে দিলেন না। এবং ঠক জো (কেননা সে বাস্তবিকই সকলের চেয়ে ভাল খেলােয়াড় নয়) নিজকে বিজয়ী জ্ঞানে মঞ্চের উপর মহা দাপটে বুক ফুলাইয়া বেড়াইতে লাগিল। যদিও বাস্তবিক পক্ষে যথার্থ শক্ত খেলা তাহাকে পাঁচ মিনিট ও খেলিতে হয় নাই। | জো নূতন হাটটি হাতে লইয়া টাকাটি তাহার মধ্যে রাখিল। তাহার পর কি যেন একটা চিন্তা তাহার মনে উদয় হওয়ায় এবং তাহার জিত সকলে যেন স্বীকার করিতে চাহিতেছে না এইরূপ ভাবিয়া মঞ্চের প্রত্যেকের দিকে একবার করিয়া আসিল এবং টাকা বাজাইয়া সকলের দিকে চাহিয়া বিদ্রুপ করিয়া বলিল, “আমি এই হাট এবং টাকা এবং আরও একটা হাফ গিনি বাজি রাখলাম, যে কোন খেলােয়াড় এর