পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

't + 1 । টম ব্রাউনের স্কুলজীবন। স্কুলে অতি ভীষণ ভাবে প্রবল হইয়াছিল। এবং ফলে সমস্ত স্কুলনীতিরই মূলচ্ছেদের উপক্রম হইয়াছিল। আর একটি উপায় ছিল বড় বড় ছেলেদের অনুচিত আঙ্কারা দেওয়া। হাঙ্গামা করিলে ইহারাই করিতে পারে সুতরাং ইহাদিগকে এইরূপ ভাবে বশ করার ফল হইয়াছিল এই যে ইহারা নিতান্ত যথেচ্ছাচারী হইয়া উঠিয়াছিল এবং খাস স্কুলে যে সমস্ত তুচ্ছ হীন উপায়ে ছােট ছেলেদের উপর অত্যাচার করার রীতি প্রচলিত থাকে উহারা তাহা করিত। | টম বেচারী স্কুলে আসার প্রথম সপ্তাহে তাহার বাড়ীর প্রথম চিঠি লইয়া এক বিপত্তি ঘটায় বড়ই মনঃক্ষুন্ন হইয়া পিড়য়াছিল। প্রভূত পরিশ্রম করিয়া যে সন্ধ্যাবেলা সে স্কুলে আসে ঐ সন্ধ্যাবেলায় মাতাকে ভালবাসা জানাইয়া স্কুলে কি রকম সুখে আছে এবং সে তাহার ইচ্ছানুরুপ কাজ করিতে কিরূপ সঙ্কল্প করিয়াছে সেই সব কথা বিবৃত করিয়া এক তা চিঠির কাগজের দুই পৃষ্ঠা ভরিয়া একখানি চিঠি লিপিয়া খাড়া করিয়াছিল । এই চিঠিখানি তাহার পাশে যে বালকটি বসিয়াছিল, সেও একজন নূতন ছাত্র, তাহার সাহায্যে যথারীতি ভক্তি করিয়া মুড়িয়াছিল। কিন্তু ইহার পর চিঠিখানি কিরূপে জুড়িবে ইহা লইয়া মহা মুস্কিল বাধিল। তখন খামের রেওয়াজ ছিল না, তাহাদের কাছে মােঘও ছিল না, এবং সন্ধ্যাবেলায় স্কুল গৃহের নিস্তব্ধতা ভঙ্গ করিয়া উঠিয়া গিয়া মাশায়ের নিকট হইতে মােন চাহিয়া আনিতেও সাহসে কুলায় নাই। টমের বন্ধু সুক্ষ্মবুদ্ধি, তাহারই উপদেশানুসারে অবশেষে চিঠিখানা এক ধাবড়া কালা পিয়া জোড়া হইল। টম শুইতে যাইবার সময় উ ডাকে দিবার জন্য ঘরণীর হাতে দিয়া গেল। ইহার চারিদিন বাদে সেই ভালমানুষের মেয়ে টমকে ডাকিয়া পাইয়া তাহার বড় সাধের চিঠিখানি দিয়া বলিল আহা মাষ্টার ব্রাটন তােমাকে বলতে E