পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নানা বিগ্রহ ও সন্ধি। । টম যত দিন সে স্কুলে ছিল তাহার নিতান্ত অনুগত ছিল, এবং সেজন্য নানা ফেঁসাদেই পড়িয়াছিল। কিন্তু ছেলেটি স্কুলের লাগানিয়া রীতির মহা বিরােধী ছিল, এবং আশার দুজনের প্রকাশ্য শত্রু, অতএব সততভাবে সমর্থনের যােগ্য। | এই স্কুলে লাটিন এবং গ্রীক ভাষা অভ্যাস টমের মােটামুটি মন্দ হয় নাই। কিন্তু কেমন যেন স্কুলের সহিত তাহার বনিল না, অথবা তাহার সহিত স্কুলের বনিল না। ছুটির সময় সে তাহাকে কোন সরকারী স্কুলে পাঠাইবার জন্য স্কোয়্যারকে ক্রমাগত খোচাইয়াছিল। সুতরাং যখন তৃতীয় বংসরাদ্ধের মধ্যভাগে ১৮৩–খৃষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে স্কুলে জ্বর দেখা দিল এবং মাষ্টার মহাশয় ও নিজে অসুস্থ হইয়া পড়িলেন, ত ন টমের আহলাদের আর সীমা রহিল না। মাত্র একদিনের জানানে স্কুলের ছুটি দিয়া সমস্ত ছেলেদের তাহাদের নিজ নিজ বাড়ীতে রওনা করিয়া দেওয়া হইল। | খৃষ্টমাসের বন্ধ উপলক্ষে ধাৰ্য্য দিনের প্রায় দুই মাস পূর্বে যখন মাষ্টার টমের রাঙ্গা হাসিমাখা মুখ বাড়ীতে আসিয়া উদয় হইল তখন সে যতটা স্কোয়ার মহাশয় মােটেই ততটা খুসি হইলেন না। সুতরাং কি যেন চিন্তা করিতে করিতে তিনি পাঠের ঘরে একাকী প্রবেশ করিলেন এবং কয়েকখানা কি চিঠিপত্র লিখিলেন, তার ফল এই হইল যে টমের বাড়ী প্রত্যাবর্তনের আন্দাজ পক্ষকাল পরে প্রাতরাশের টেবিলে তাহার স্ত্রীকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন “ওগো, আমি টমকে পত্রপাঠ রাগবিতে পাঠাবার সমস্ত বন্দোবস্ত করেছি, সে এই ষষমাহের বাকি ছয় সপ্তাহ সেখানে গিয়া পাকুক। বাড়ীতে ঘোড়ায় চড়ে আর বৃথা ঘােরাঘুরি করে সময় নষ্ট করে কাজ নেই। আচার্য্য বিশেষ অনুগ্রহ করেই এরূপ অনুমতি দিয়েছেন। তুমি ওর সব জিনিষপত্র শুক্রবারের মধ্যে গােছগাছ করে । । ।