বাঘ বললে, তোমার ঢুকে কাজ নেই। এবারের নিমন্ত্রণটা আমিই খাইগে।’
শিয়াল বললে, ‘বেশ কথা মামা!! খুব ভালো করে পেট ভরে নিমন্ত্রণ খেও। কম খেও না যেন!’
এই বলে শিয়াল হাসতে হাসতে তার দেশে চলে গেল।
তারপর চাষীরা এসে দেখল যে বাঘমশাই খোঁয়াড়ের ভিতর বসে আছেন। তখন তারা কি খুশী যে হল, কি বলব!
তারা সকলকে ডেকে বললে, ‘আন খন্তা, আন বল্লম, আন যে যা পারিস! খোঁয়াড়ে বাঘ পড়েছে। আয় তোরা কে কোথায় আছিস।’
অমনি সকলে ছুটে এসে বাঘকে মেরে শেষ করল।
এক যে ছিল বুড়ো চাষী, তার নাম ছিল বুদ্ধুর বাপ।
বুদ্ধুর বাপের ক্ষেতে ধান পেকেছে, আর দলে-দলে বাবুই এসে সেই ধান খেয়ে ফেলছে। বুদ্ধর বাপ ঠকঠকি বানিয়ে তাই দিয়ে বাবুই তাড়াতে যায়। কিন্তু ঠকঠকির শব্দ শুনেও বাবুই পালায় না। তখন সে রেগেমেগে বললে, ‘বেটারা! এবার যদি ধরতে পারি, তাহলে ইঁড়ি-মিড়ি-কিঁড়ি-বাঁধন দেখিয়ে দেব!’
ইঁড়-মিড়ি-কিঁড়ি-বাঁধন বলে কোনো একটা জিনিস নেই। বুদ্ধুর বাপ আর কোনো ভয়ানক গাল খুঁজে না পেয়ে ঐ কথা বলে। রোজই বাবুই আসে, রোজই বুদ্ধুর বাপ তাদের তাড়াতে না পেরে বলে,‘ইঁড়ি-মিড়ি-কিঁড়ি-বাঁধন দেখিয়ে দেব!’
এর মধ্যে একদিন হয়েছে কি—একটা মস্ত বাঘ রাত্রে এসে বুদ্ধুর বাপের ক্ষেতের ভিতর ঘুমিয়ে ছিল, ঘুমের ভিতর কখন সকাল হয়ে গেছে, আর সে-বাঘ সেখান থেকে যেতে পারেনি।
সেদিনও বুদ্ধুর বাপ বাবুই তাড়াতে এসে, ঠকঠকি নাড়ছে আর বলছে, ‘বেটারা, যদি ধরতে পারি তবে ইঁড়ি-মিড়ি-কিঁড়ি-বাঁধন দেখিয়ে দেব!’
ইঁড়ি-মিড়ি-কিঁড়ি-বাঁধন বাধন শুনেই তো বাঘের বেজায় ভাবনা হয়েছে। সে ভাবলে, ‘তাই তো! এটা আবার কি নতুন রকমের জিনিস হল? এমন বাঁধনের