ষষ্ঠ সঙ্গ । b"Q আমার অবমাননা করিয়া অক্ষত শরীরে যাইতেছে, তুমি কি বসির দেখিতে থাকিবে? দেবতারাও আমার পরাক্রম স্বীকার করিয়া থাকেন ; কিন্তু এই দুই অহস্কৃত মানবের এত দূর অস্পিৰ্ব যে, আর প্রিয় দ্বীপ মধ্যে যাহারা অামার অর্চনা করিয়া থাকে, ইহার"তাহাদের নিন্দ ও দ্বেষ করে। ইহার এই গৰ্ব্বে গৰ্ব্বিত যে, উহাদের হৃদয় জ্ঞানে এৰূপ পরিপূর্ণ যে তথায় কন্দৰ্পবাণ কখন প্রবেশ করিতে পারে নাই। তুমি কি বিস্তৃত হইয়াছ যে আমি তোমার রাজ্যমধ্যে জন্মগ্রহণ করিয়াছি*? আমি যে নরাধম পাষগুদিগকে ঘৃণা করি, তাহাদিগকে বিনষ্ট করিতে তুমি কি নিমিত্ত বিলম্ব করিতেছ ? এই বলিয়া বীনস বিরত হইবামাত্র ধরুণদেবের আদেশক্রমে সমুদ্রের তরঙ্গ সকল স্ফীত হইয়া অতি প্রকাও পৰ্ব্বতের আকার ধারণ করিল। এই বারে পোতভঙ্গ ঘটয় আমাদের অর্ণবগর্ভপ্রবেশ অপরিহার্য্য হইয়াছে, এই ভাবিয়া অলিদিভরে দেবীর অধরে হাস্থ্য সঞ্চার হইল। আমুদের নাবিক হতাশ ও হতবুদ্ধি হইয়া চীৎকার করিয়া বলিল; এই দুরন্ত, বাতায় আর আমি কোন ক্রমেই পোত রক্ষা করিতে পারি না। সে এই বলিতে বলিতে, আমাদের পোত অনিবাৰ্য বেগে এক জলমধ্যগত শৈলের উপরু নীত হইল ; গুণবৃক্ষ ভগ্ন হইয় গেল, এবং
