আমাকে শিখিয়ে দেবে। পিসেমশায়কে আমি বলি ওকে ভিক্ষা দিতে, তিনি বলেন ও মিথ্যা কানা, মিথ্যা খোঁড়া। আচ্ছা ও যেন মিথ্যা কানাই হল কিন্তু চোখে দেখতে পায় না সেটাত সত্যি।
ঠাকুর্দ্দা
ঠিক বলেছ বাবা, ওর মধ্যে সত্যি হচ্চে ঐটুকু যে, ও চোখে দেখতে পায় না—ত ওকে কানা বল আর নাই বল। তা ও ভিক্ষা পায় না তবে তোমার কাছে বসে থাকে কী করতে?
অমল
ওকে যে আমি শোনাই কোথায় কী আছে! বেচারা দেখতে পায় না। তুমি যে-সব দেশের কথা আমাকে বল সে-সব আমি ওকে শুনিয়ে দিই। তুমি সেদিন আমাকে সেই যে হাল্কা দেশের কথা বলেছিলে, যেখানে কোনো জিনিষের কোনো ভার নেই—যেখানে একটু লাফ দিলেই অমনি পাহাড় ডিঙিয়ে চলে যাওয়া যায় সেই হাল্কা দেশের কথা শুনে ও ভারি খুসি হয়ে উঠেছিল। আচ্ছা ফকির সে দেশে কোন দিক দিয়ে যাওয়া যায়?
ঠাকুর্দ্দা
ভিতরের দিক দিয়ে সে একটা রাস্তা আছে সে হয়ত খুঁজে পাওয়া শক্ত।
অমল
ও বেচারা যে অন্ধ ও হয়ত দেখতেই পাবে না—ওকে কেবল ভিক্ষাই করে বেড়াতে হবে। তাই নিয়ে ও দুঃখ করছিল—