পাতা:ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, অক্টোবর ৮, ২০১৮ ১২৪১৫ (৩) যদি কোনাে ব্যক্তি উপ-ধারা (১) ও (২) এর বিধান লঙ্ঘন করেন, তাহা হইলে অনুরূপ লজ্জন হইবে একটি অপরাধ এবং উক্ত অপরাধের জন্য তিনি অনধিক ২ (দুই) বত্সর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। ৪৮। অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ, ইত্যাদি।—(১) ফৌজদারি কার্যবিধিতে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, পুলিশ অফিসার লিখিত রিপাের্ট ব্যতীত ট্রাইব্যুনাল কোনাে অপরাধ বিচারার্থ গ্রহণ (cognizance) করিবে না। (2) ট্রাইব্যুনাল এই আইনের অধীন অপরাধের বিচারকালে দায়রা আদালতে বিচারের জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির অধ্যায় ২৩ এ বর্ণিত পদ্ধতি, এই আইনের বিধানাবলির সহিত সঙ গতিপূর্ণ হওয়া সাপেক্ষে, অনুসরণ করিবে। ৪৯। অপরাধের বিচার ও আপিল ।১) আপাতত বলবৎ অন্য কোনো আইনে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ কেবল ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বিচার্য হইবে। (২) কোনাে ব্যক্তি ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত রায়ে সংক্ষুব্ধ হইলে তিনি আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করিতে পারিবেন। ৫০। ফৌজদারি কার্যবিধির প্রয়ােগ।(১) এই আইনে ভিন্নরূপ কিছু না থাকিলে, কোনাে অপরাধের তদন্ত, বিচার, আপিল ও অন্যান্য বিষয়াদি নিস্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির বিধানাবলি প্রযােজ্য হইবে। (২) ট্রাইব্যুনাল একটি দায়রা আদালত বলিয়া গণ্য হইবে এবং এই আইনের অধীন যে কোনাে অপরাধ বা তদনুসারে অন্য কোনাে অপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে দায়রা আদালতের সকল ক্ষমতা প্রয়ােগ করিতে পারিবে। (৩) ট্রাইব্যুনালে অভিযােগকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ব্যক্তি পাবলিক প্রসিকিউটর বলিয়া গণ্য হইবেন। ৫১। বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণ, প্রশিক্ষণ, ইত্যাদি। ১) ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনাল, বিচারকার্য পরিচালনাকালে, কম্পিউটার বিজ্ঞান, সাইবার ফরেনসিক, ইলেকট্রনিক যােগাযােগ, ডাটা সুরক্ষাসহ অন্যান্য বিষয়ে অভিজ্ঞ কোনাে ব্যক্তি স্বাধীন মতামত গ্রহণ করিতে পারিবে। (2) সরকার বা এজেন্সি এই আইন বাস্তবায়নের সহিত সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিকে, প্রয়ােজনে, কম্পিউটার বিজ্ঞান, সাইবার ফরেনসিক, ইলেকট্রনিক যােগাযােগ, ডাটা সুরক্ষাসহ অন্যান্য প্রয়ােজনীয় বিষয়ে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ প্রদান করিতে পারিবে। ৫২। মামলা নিষ্পত্তির জন্য নির্ধারিত সময়সীমা।—(১) ট্রাইব্যুনালের বিচারক এই আইনের অধীন কোনাে মামলার অভিযােগ গঠনের তারিখ হইতে ১৮০ (একশত আশি) কার্য দিবসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করিবেন।