আসিলাম। অতঃপর দুষ্কর্ম্মের আর এক সোপান ঊর্দ্ধে উত্থিত হইলাম।
নবম পরিচ্ছেদ।
পূর্ব্বে প্রত্যহ সন্ধ্যার পর একবার আহারার্থে বাটীতে যাইতাম, আজ ক্রমিক সাত দিবসের পর বাটীতে যাইলাম। পিতা আমাকে দেখিয়া ঘাড় হেঁট করিয়া বাহির হইয়া গেলেন। বাটীর ভিতর যাইয়া দেখি, আমার স্ত্রী অন্য দিবসের অপেক্ষা অতিশয় ম্রিয়মাণ। সে দিবস আমার সহিত কথা কহিল না, বা আমার নিকটেও আসিল না। মাতা আমাকে ডাকাইয়া আহার করাইলেন ও অতিশয় দুঃখ প্রকাশ করিতে লাগিলেন। আমার ছোট ছোট দুইটী পুত্ত্র ও একটী কন্যা আসিয়া গলা ধরিয়া বলিল, “বাবা! তুই কোথায় ছিলি?”
আমার সে সকল কিছুই ভাল লাগিল না; হৃদয়ের মধ্যে সেই গোলাপের রূপ চিন্তা করিতে লাগিলাম, তাহার কথাগুলি স্মরণ করিতে লাগিলাম। আহার সমাপ্ত হইল, আমার ঘরে গিয়া শয়ন করিলাম; ঘড়িতে নয়টা বাজিয়াছে। ক্রমে একটা বাজিয়া গেল, তথাপি আমার স্ত্রীকে সে রাত্রে আর দেখিতে পাইলাম না, বা অন্য কাহারও আর কোন প্রকার সাড়া শব্দ পাইলাম না। রাত্রি ২টা বাজিলে আস্তে আস্তে উঠিয়া, যে আল্মারির ভিতর আমার স্ত্রীর গহনা থাকিত, তাহা খুলিলাম। খুলিতে কোন কষ্ট হইল না, যে স্থানে