পাতা:ডিটেক্‌টিভ পুলিস (প্রথম কাণ্ড) - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ডাক্তার বাবু।
৪৭

 পরদিন পুনরায় জমীদার মহাশয়ের নিকট গমন করিলাম, ও তাঁহাকে বলিলাম, “মহাশয়! কল্য আমি আফিসে যাইয়া সমস্ত বিষয় জানিয়া আসিয়াছি। আপনাকে কখন আর কোন দেওয়ানী আদালতে উপস্থিত হইতে হইবেক না। তাহার আজ্ঞাপত্র লেখাপড়া শেষ হইয়াছে, কেবলমাত্র সেক্রেটরী সাহেবের স্বাক্ষর বাকি আছে। তাহাও বোধ হয় চারি পাঁচদিবসের মধ্যেই সম্পন্ন হইবে। আপনি সেস্থান হইতে আর কোন পত্রাদি পাইবেন না, কেবলমাত্র ঐ আজ্ঞাপত্র ডাকযোগে আপনার নিকট প্রেরিত হইবে।” জমীদার মহাশয় সেইদিবস আমার কথা শুনিয়া অতিশয় আহ্লাদিত হইলেন এবং বলিলেন, “এখন বোধ হইতেছে যে, পাঁচ সাত দিবসের, মধ্যেই তোমার অনুগ্রহে আমি ঐ বিপদ হইতে রক্ষা পাইব।”

 সেইদিবস রাত্রিকালে শয়ন করিবার সময় মনে মনে একটু ভাবনা হইল। ভাবিলাম, এখন কোন্ উপায় অবলম্বন করি; অব্যবহিত পরে উপায় আসিয়া আমার চিন্তাপথে প্রবেশ করিল। এক টুক্‌রা কাগজ ও একটী পেন্সিল লইয়া তাহাতে ভাবিয়া ভাবিয়া এই মর্ম্মে ইংরাজীতেও একটী মুশাবিদা করিলাম যে, “লেপ্টেনেণ্ট গবর্ণর বাহাদুর তোমাকে অদ্য হইতে এই আজ্ঞাপত্র প্রদান করিতেছেন যে, তুমি যতদিবস পর্য্যন্ত জীবিত থাকিবে, ততদিবস পর্য্যন্ত তোমাকে কোন দেওয়ানী আদালতে উপস্থিত হইয়া সাক্ষ্য দিতে হইবেক না। যে মোকদ্দমায় তোমার সাক্ষা নিতান্ত আবশ্যক বলিয়া বিবেচিত হইবে, সে মোকদ্দমায় কমিশন দ্বারা তোমার সাক্ষ্য গৃহীত হইবে।”