ইহার চিহ্ণমাত্রও রাখা উচিত নহে।” আমার কথায় সেই মূর্খ ছাপাখানাধ্যক্ষ তাহাই করিলেন।
আমি সেইস্থান হইতে চলিয়া আসিয়া ঐ ছাপান পার্চমেণ্ট কাগজের একখানি লইয়া, তাহাতে যাহা যাহা হস্তের লেখা থাকা উচিত, তাহা নিজহস্তে লিখিলাম। অতঃপর লেপ্টেনেণ্ট গবর্ণর সাহেবের সেক্রেটরীর সহি জাল করিয়া একখানি সরকারী খামের ভিতর উহা বন্ধ করিলাম। পরে তাহাতে পূর্ব্বমত ডাকের মোহর জাল করিয়া নিয়মিত সময় মধ্যে নিজেই লইয়া গিয়া জমীদার মহাশয়কে দিলাম এবং বলিলাম, “আমি মহাশয়ের বাটীর ভিতর প্রবেশ করিবার সময় দরজায় একজন ডাকপিয়ন আমার হস্তে এই পত্রখানি অর্পণ করিয়া চলিয়া গেল।” জমীদার মহাশয় আমার হস্ত হইতে উহা লইয়া খুলিলেন, পড়িয়া অতিশয় সন্তুষ্ট হইলেন এবং আমাকে আশীর্ব্বাদ করিলেন। তখনই বাক্স হইতে আরও একখানি ৫০০৲ টাকার নোট বাহির করিয়া আমাকে পারিতোষিক প্রদান করিলেন। বলা বাহুল্য যে, ঐ টাকা সুরাপান প্রভৃতি দুষ্কর্ম্মে ব্যয় করিলাম।
ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ।
জমীদার মহাশয়ের বাটীতে ধূম পড়িয়া গেল, চারিদিকে আনন্দের ধ্বনি উঠিতে লাগিল, বন্ধুবান্ধবগণ নিমন্ত্রিত হইলেন, আহারাদি ও নৃত্য গীত চলিতে লাগিল। জমীদার মহাশয়