পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন। * বিস্তৃত। সেই জঙ্গলে বড় বাঘের উৎপাত ছিল । সেই জন্য বলা হইয়াছে “পাহাড় খাইল বাঘে । “ভর” অর্থ সমতল ভূমি যাহা পাহাড়ের পশ্চিমে অবস্থিত ছিল । সেখানে উক্ত নাগ মহাশয়ের বিপুল প্রভুত্ব ছিল। এই বংশের আর এক কৃতী ও সাধুপুরুষ ছিলেন স্বৰ্গীয় গুরুপ্রসাদ নাগ । তিনি রঙ্গপুর জেলার অন্তর্গত কিশোরগঞ্জ নামক স্থানে নীলকুঠার দেওয়ান ছিলেন। তিনি অতি উদার, সদাশয়, দানশীল ব্যক্তি ছিলেন। রঙ্গপুর, দিনাজপুর অঞ্চলে আজিও তিনি প্রাতঃস্মরণীয় ব্যক্তি বলিয়া উল্লিখিত হন। আমি ১৯১৪১৫ খৃষ্টাব্দে দিনাজপুর থাকার সময় তাহার সাক্ষ্য পাইয়াছি। এইরূপে স্মরণীয় ও বরণীয় হইবার বিশেষ কারণও ছিল । ৬ গুরুপ্রসাদ নাগ মহাশয় একজন ধৰ্ম্মপ্রাণ, সরল, পরোপকারী পুরুষ ছিলেন । তাহার গৃহে সদাব্রত ছিল। অতিথি কখনও তাহার গৃহ হইতে অভুক্ত ফিরিতন। তাহার স্বগ্রামবাসী এক ব্রাহ্মণ বন্ধু তাহার বাসায় থাকিতেন এবং বোধহয় তাহার অনুগ্রহে নীলকুঠতে একটা কাৰ্য্যও করিতেন। তাহার বিশ্বাসঘাতকতার ফলে নাগ মহাশয় কিছু সময়ের জন্য দেওয়ানী কাৰ্য্য হইতে অপস্থত হন। তখনও তাহার গৃহে সদাব্রত চলিতেছিল। একদিন মধ্যাহ্নসময়ে এক ব্রাহ্মণ র্তাহার গৃহে অতিথিরূপে উপস্থিত হন । তিনি তখন অন্দর মহলে ছিলেন। একজন ভূত্য সেই ব্রাহ্মণ অতিথিকে সম্বোধন করিয়া বলিয়াছিল “মশায়, আমাদের বাবুর চাকরী নাই, এখনও আপনার