পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/২২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

☆>象 ডেপুটীর জীবন। না । সেখানে অনেক জেলে ডিঙ্গিতে মৎস্য ধরিতে ছিল । তাহাদিগকে প্রচুর বকসিস দেওয়ার প্রলোভন দেখাইলাম । তাহারা নানা উপায়ে নোঙ্গরের অনুসন্ধান করিল। কেহ কেহ জলে ডুবাইয়াও দেখিল । কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে আর নোঙ্গর পাওয়া গেল না। আমি মনে মনে বড় অপ্রতিভ বোধ করিলাম। এক ভদ্রলোক দয়া করিয়া আমাদের ব্যবহার জন্য বজরা দিয়াছিলেন, আমি তাহার নৌকার অতি প্রয়োজনীয় এক মূল্যবান জিনিষ হারাইলাম। বিমলের জ্বর কমিল বটে, কিন্তু একবারে ছাড়িল না ; এই সব কারণে, আর নৌকাতে অগ্রসর হইতে ইচছা হইল না । আমরা ফিরিয় রওনা হইলাম। ২৩ দিন পর পুনরায় বাসায় পহুছিলাম। রেভারেণ্ড বানার্জি আমাদের জলযাত্রার ইতিহাস শুনিয়া ব্যথিত হইলেন। নোঙ্গর কিনিয়া replace করার প্রস্তাব তিনি দৃঢ়তার সহিত অগ্রাহ্য করিলেন । ইহার পর শরতের শারীরিক অবস্থা ক্রমশঃ খারাপ হইতে লাগিল। আমি বড় চিন্তিত হইলাম। কাজকৰ্ম্মেও ততদূর মনঃসংযোগ করিতে পারিতাম না । তাহাকে লইয়া দেশে যাওয়া স্থির করিয়া ২ মাসের ছুটীর আবেদন করিলাম। বিদায় মঞ্জুর হইল। ১৮৯৬১লা জুন হইতে বিদায় ভোগ করিতে আরম্ভ করিয়া ষ্টীমারযোগে বাড়ী রওনা হইলাম। আমি যখন মালদহ ছাড়িয়া আসি, তখন একটা হৃদয়স্পর্শী ঘটনা হইয়াছিল। পূর্বে বলিয়াছি, মালদহে নৈতিক জীবন বড়