পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন 2&> সাহেব ক্রুদ্ধ হইয়া আসামীকে পুনরায় গ্রেপ্তার করিয়া আনাইয়৷ নিজে বিচারের জন্য রাখেন। ইহার অল্প পরই সেই মাজিষ্ট্রেট যশোহর হইতে বদলী হন। তারপর Mr. F. S. H. নামক সাহেব মাজিষ্ট্রেট হইয় আসেন। তিনি বিচার না করিয়া নথি দেখিয়াই ঐ আসামীকে খালাস দেন। তিনি অতি কোপনস্বভাবের লোক ছিলেন । কিন্তু কখনও ডিপুটীদের বিচারকার্য্যে হস্তক্ষেপ করিতেন না। সামান্য ক্রটীতে কেরাণীদের জরিমানা করিতেন। একবার খৃষ্টমাস ছুটীর সময় খাজাঞ্চি ( Treasurer ) বিনা অনুমতিতে কলিকাতা গিয়াছিল বলিয়া তাহার ৪০ জরিমান করেন। আপিলে তাহ মাপ হয় । তিনি এইভাবে কাহারও ৭ দিনের, কাহারও ১৪ দিনের বেতন জরিমানা করিতেন । ইহার অল্প দিন পরই গবর্ণমেণ্ট circular প্রচার করিয়া কেরাণীদিগকে জরিমানা দ্বারা শাস্তির প্রথা রহিত করেন । যশোহর থাকার সময়ই আমার পারিবারিক জীবনে কতকগুলি গুরুতর ঘটনা সংঘটিত হইল। শরতের স্বাস্থ্য ক্রমেই খারাপ হইতে লাগিল । প্রথমতঃ allopathic চিকিৎসাতে ফল না হওয়াতে একজন হিকিম কিছু দিন চিকিৎসা করিলেন। তিনি অত্যন্ত দুর্বল হইয়া পড়িলেন। (১৮৯৬) পূজার ছুটতে র্তাহাকে লইয় অনেক কষ্টে বাড়ী গেলাম । তখন শ্বশুর মহাশয়ও পূজার ছুটতে বাড়ী আসিয়াছিলেন। তিনি শরতকে নিজের স্ত্রীবিয়োগ ।