পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন। &&○・ এবং আমাকে তৎক্ষণাৎ relieve করার অনুরোধ করিলাম । সেই দিনই জবাব পাইলাম ও ছুটতে যাওয়ার অনুমতি পাইলাম । আমি এক অন্য ডিপুটী কলেক্টারের নিকট Treasuryর চাবি দিয়া বাড়ী রওনা হইলাম। বোধ হয় ১লা ডিসেম্বর ২ দিন পর বাড়ী পহুছিলাম। শ্বশুর বাড়ী প্রায় এক গ্রামেই, সেখানে গেলাম। যাইয়া দেখি শরতের জীবনের আশা নাই । বড়ই অবসন্ন হইলাম। বুঝিলাম তাহার ডাক আসিয়াছে, আমাকে দেখার জন্য এক দিন অপেক্ষা করিতেছেন। তখনও । সাভারের ঔষধ ব্যবহৃত হইতেছে (ইতিপূর্বে র্তাহাকে সাভার অানাইয়া ব্যবস্থা লওয়া হইয়াছিল ) । ৩৪ দিন রহিলাম । আমাকে দেখিয়া কিছু সাময়িক শান্তিবোধ ও হর্ষ প্রকাশ । করিলেন । ১৩০৩২৪শে অগ্রহায়ণ, (৮ই ডিসেম্বর ৯৬ ) কি । ভীষণ দিন । বিশেষ কোন পরিবর্তন লক্ষিত হইল না । মধ্যাহের । পর হইতে শরৎ একটু অশান্তি বোধ করিতে লাগিলেন ও । ছটফট করিতে লাগিলেন। শ্বশুর, শাশুড়ী প্রভূতি বাড়ীর । সকলেই চঞ্চল হইলাম । বাশাইল হইতে তারক বাবু, তাহার ভগিনী প্রভৃতি আত্মীয় স্বজনকে খবর দিয়া আনা হইল । শরৎ সকলের সঙ্গেই কিছু কিছু আলাপ করিলেন। তিনি । নিজে বুঝিলেন র্তাহার প্রাণ-পাখী অচিরেই দেহপিঞ্জর ছাড়িয়া যাইবে । আশ্চৰ্য্য জ্ঞান। তিনি সমস্ত গুরুজনকে একে একে । আহবান করিয়া সকলের নিকট বিভিন্নভাবে বলিতে লাগিলেন “আমি চলিলাম, আপনারা অামার সকল ক্রট, সকল অপরাধ ·