পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন । & ዓ » হইতে perpendicularly নীচে নামিতেছে বলিয়া মনে হয় । আমর সঙ্গে ৩৪জন পাহাড়িয়া কুলি লইয়া এই ঝরণা দেখিতে গেলাম। কুলির প্রত্যেকে সঙ্গে এক একখানা দা লইল । ষ্টেশন হইতে প্রায় ৩ মাইল পথ জঙ্গলের ভিতর দিয়া রাস্ত৷ কাটিতে কাটিতে আমরা ক্রমে উচ্চে উঠিয়৷ সেই জলপ্রপাতের নিম্বদেশে উপস্থিত হইলাম। এই স্থানটী সাধারণ জমি হইতে প্রায় ঃ মাইল উচ্চ হবে । অতি বিচিত্র, শোভাপূর্ণ, পরম রমণীয় স্থান। চতুর্দিকে নিবিড় জঙ্গল । সহস্র ২ কদলী বৃক্ষ । শত শত কলার কাদি অপক্ক, অৰ্দ্ধপক্ক অবস্থায় গাছে ঝুলিতেছে। অার একদল বাদর সেখানে এক উপনিবেশ স্থাপন করিয়াছে । নিম্নদেশে একটী কুণ্ড বা হ্রদ। ১৫১৬ হাত তাহার ব্যাস হইবে । এই হ্রদে পাহাড়ের শিখর হইতে সহস্ৰ সহস্র ধারায় জল পড়িতেছে। প্রায় ১৫০ ফিট উচ্চ হইতে বেগে জল পড়িয়া চূর্ণ বিচূর্ণ রজতখণ্ডের ন্যায় প্রতিফলিত হইতেছে। আশ্চর্যের বিষয় এই, পাহাড়ের যে পাশ্ব দিয়া জল পড়িতেছে তাহা মস্থণ, যেন কোন কারিকর ছেনি দিয়া কাটিয়া তাহা plain বা অবন্ধুর করিয়া দিয়াছে। সেখানে পাহাড়ের গাত্র একবারে খাড়া বা steep, এই মন্থণ খাড়া পাহাড়ের গা বাহিয়া প্রতিনিয়ত জলধারা নিম্নস্থ কুণ্ডে পড়িতেছে। দূর হইতে তাহাকে একটা জলধারার মত দেখা যায় । কিন্তু বাস্তবিক ১৫২০ হাত প্রশস্ত হইয়া লক্ষ ধারা একত্রে পতিত হইতেছে। কুণ্ডের নিকট দাড়াইবার উপায় নাই। সমস্ত গাত্র ভিজিয়া যায়। 然 n