পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩২২ ডেপুটীর জীবন। করিতেছেন। আমি অনেক বার তাহাকে আমার মতের আভাসও ' দিলাম। কিন্তু তিনি “নাছোড়বান্দা”। চতুর্থ দিন যখন পুনরায় অবৈধ জেরা আরম্ভ করিলেন, আমি বলিলাম, “আপনি সাক্ষীকে তিন দিন জেরা করিলেন, এখনও শেষ হইল না, আপনি আর কত সময় নিবেন ?” তিনি কিছু উষ্ণ হইয়। বলিলেন “তাহ আমি বলিতে পারি না, আজ সমস্ত দিন তো লাগিবেই, অদ্যকার জেরা শেষ হইলে বলিতে পারিব কত সময়ে শেষ করিব।” তখন আমি বলিলাম, “মহাশয় আপনিতে। জেরা করিতেছেন বেশ স্বাধীনভাবে ও কৃতিত্বের সহিত, রায়টা কিন্তু আমি লিখিব ।” তিনি অতি গম্ভীর হইয়া আর ২৪টা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিয়া বলিলেন, “আমি আর জেরা করিব না, আজ মোকদ্দমা স্থগিত রাখুন” । আমি মোকদ্দমা পর দিন adjourn করিলাম। তিনি সেই দিন পূর্ণিয় চলিয়া যান এবং মোকদ্দমা আমার নিকট হইতে transfer করার জন্য। মাজিষ্ট্রেটের নিকট দরখাস্ত দেন। মাজিষ্ট্রেট আমার কৈফিয়ত চান ও আমাকে মোকদ্দমা স্থগিত রাখিতে বলেন । আমি । কৈফিয়ত আমার পূর্বোল্লিখিত উক্তি স্বীকার করিয়া লিখিলাম “১ম পক্ষের সাক্ষীর জেরা দেখিলেই বুঝিতে পারিবেন উকীল বাবু কি অবৈধরূপে এই মোকদ্দমা prolong করিতে চেষ্টা করিতেছেন। মাজিষ্ট্রেট আমার কৈফিয়ত পাইয়া ও উকীলের । argument শুনিয়া তাহার transferএর দরখাস্ত নামঞ্জুর । করিলেন । কিন্তু ২য় পক্ষ ( Mr. Forbes ) এই হুকুমের