পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৩৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○○ 8 ডেপুটীর জীবন। এর বাসার সম্মুখস্থ সড়ক দিয়া ধীরে ধীরে অগ্রসর হইতেছি, এমন সময় ঐ উকীল বাবুর ৯১০ বৎসর বয়স্ক এক স্থদর্শন বালক পাশে আসিয়া মাজিষ্ট্রেটকে আহবান করিয়া বলিল, “ও সাহেব, বন্দে মাতরম", সাহেব দক্ষিণ হস্ত উঠাইয় হস্তদ্বারা নিষেধ সঙ্কেত জানাইলেন। বালকটকে আর কিছু বলিলেন না। আমি একটু অপ্রস্তুত হইলাম। ঐ সময়ে কেন, বোধ হয় এখনও “বন্দে মাতরম ধ্বনিতে” অনেকেরই ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটে। সাহেবের সহিত ঐ বিষয়ে আমার কিছু কথোপকথন হইল, তাহাতে বুঝিলাম নেত্রকোণার বালকদের অভিভাবকগণের গুরুজন প্রতি সম্মান প্রদর্শনবিষয়ে নীতি শিক্ষা শিথিল ও অপ্রশংসনীয়, সাহেবের এই ধারণ জন্মিয়াছিল। তারপর মাজিষ্ট্রেট সাহেব তাহার পরিদর্শনের অন্যতম: গুরুতরকার্ষ্যে নিযুক্ত হইলেন। সাবরেজিষ্ট্রারের বিরুদ্ধে যে মোকদ্দমা ছিল তাহা তখনও pending, অনেকে সাহেবের সঙ্গে দেখা করিয়াছে, কিন্তু মৌলবী এলাহি নেওয়াজ খাঁ সাহেব “বৃন্দাবনং পরিত্যাজ্য পাদমেকং ন গচ্ছতি”, অবশেষে সাহেব তাহাকে ডাকাইলেন । সেবেচারা ভীতি ও সৎসাহস উভয় জিনিষ লইয়া সাহেবের নিকট উপস্থিত হইল। সাহেব তাহাকে অনেক প্রকার বুঝাইলেন যে এই মোকদ্দমা তাহার উঠাইয়া নেওয়া উচিত। মৌলবী অটল। অবশেষে তিনি ১ প্রস্তাব করিলেন, সাবরেজিষ্ট্রার মাজিষ্ট্রেটের সমক্ষে গোপনে তাহার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিবে । তাহার পক্ষে হিন্দুদের