পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৩৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর औदन । ○ケ> করাইলেন। আমি সেখানে গেলাম না। প্রফুল্ল পরে বলিয়াছিলেন যে পাণ্ড মহাশয়ের পত্নী এক অনিন্দ্য সুন্দরী রমণী যেন ভগবতীর প্রতিম, আর র্তার হাতের রান্নাও অনুপম। দক্ষিণ প্রান্তের সিড়ি দিয়া নামিয়া ঘোড়ার গাড়ীতে বাসায় ফিরিলাম। কামেখ্যা পরম রমণীয় স্থান। পর্বতশৃঙ্গে মন্দির। মন্দিরে প্রবেশ করিয়া কিছু নীচদিকে যাইতে হয়, সেখানেই “পীঠ”। প্রকোষ্ঠ অন্ধকার। সর্বদাই আলো জ্বালা থাকে। মন্দিরের বাহিরে একটী পুকুর, তাহাতে অনেক কচ্ছপ দেখিলাম। আশ্চর্য্যের বিষয় এই উচ্চ পৰ্ব্বতের উপর মেলা নারিকেল গাছ। সর্বোচ্চ শৃঙ্গে ভুবনেশ্বরের মন্দির। সেখান হইতে ব্ৰহ্মপুত্রগর্ভে নৌকাগুলি অতি ক্ষুদ্র বলিয়া প্রতীয়মান হয়। আর নৌকাস্থ মানুষগুলিকে ৭৮ বৎসরের শিশুর মত দেখায় । । - ১৭ই ডিসেম্বর গৌহাটী পরিত্যাগ করিয়া, পর দিন বড়পেটা পহুছিলাম ও ১৯শে ডিসেম্বর পুনরায় বড়পেটার গদী দখল করিলাম । ইতিপূর্বে যোগেশ বাবু গৌহাটী বদলী হইয়া গিয়াছিলেন। যতদূর মনে পরে এবারও তিনি 2nd. Officer হইয়া আমার ওখানে একলা আসিলেন । আমার বাঙ্গলায়ই র্তাহার থাকার বন্দোবস্ত করিয়া দিলাম । н পূর্ব প্রণালী মত সরকারী কাৰ্য্য চালাইতে লাগিলাম। এ যাত্রায় আমাকে প্রায় ২ বৎসর এই ষ্টেশনে থাকিতে হইল ।