পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ゆbや ডেপুটীর জীবন। নিতান্ত অপ্রশস্ত নয়। উভয় পাশ্বে নিবিড় জঙ্গল । ঠিক সন্ধ্যার সময় আমরা সেই নদীতে পন্থছিলাম। ঐ নদীর ভাটীর দিকে একটা গ্রামে গিয়া অবস্থান করিব এইরূপ অভিপ্রায়। যেই আমার নৌকা নদীতে পরিল হঠাৎ একটা প্রকাণ্ড জলজন্তু ( বোধ হয় কুমীর ) নীচ হইতে নৌকাকে প্রবল আঘাত করিয়া নৌকাখানা উন্টাইয়া দিতে চেষ্টা করিল। মাঝিগণ অতি কৌশলে নৌকাখানা রক্ষা করিল। আমরা চলিতে লাগিলাম। রাত্রি ৯ট হইল। মাঝিরা বলিল ‘গন্তব্য গ্রাম কতদূর তাহারা ঠিক পাইতেছেন। স্থতরাং রাত্রির জন্য ঐ স্থানেই নৌকা রাখা স্থির হইল । সেদিন লক্ষনী পূর্ণিমা ছিল। শরচ্চন্দ্র মধুর জ্যোতিতে ধরিত্রী প্লাবিত করিতেছিল। বর্ষার কুলপ্লাবনকারী বারিরাশি নামিয়া গিয়াছে। “মানসের” তীরভূমি জাগিয়াছে। তীরদেশে পলি ( silt ) পড়িয়াছে। দৃঢ়ভূমি দেখিয়া একস্থানে নৌকা লাগান হইল। দ্বিতীয় নৌকাতে পাচক রান্না করিতেছে । আমি পায়খানার যাওয়ার উদ্দেশ্যে তীরে নাবিলাম। একজন মাঝি নৌক৷ হইতে ৮ কি ৭ গজ দূরে একটা দৃঢ় ভূমিযুক্ত স্থান দেখিয় সেখানে আমার গাড় রাখিয়া আসিল। আমি সেখানে গিয়া বসিলাম। তখন আমার দুই পা ক্রমে ‘পলি পরী: আদ্রভূমিতে প্রবেশ করিতে লাগিল। আমি একটা কেঁলেী ঘাসের ছোপ (bush) হাতে ধরিলাম। কিন্তু পা ক্রমে নীচে যাইতে লাগিল। হাটুর উপর পর্য্যন্ত যখন ডুবিল, তখন সৰ্ব্বানন্দ