পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৫০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন もな)* প্রবলবেগে বেশী করিয়া পড়ে। রাজমহলে যে “মতি ঝরণা" নামক জলপ্রপাত দেখিয়াছিলাম, এস্থানও কতকটা সেইরূপ, তবে তাহা হইতে সহস্রধারাতে কিছু কম পরিমাণ জল পড়ে। এই সমস্ত দৃশ্ব সম্ভোগ করিয়া, পথে জলযোগ করিয়া প্রায় সন্ধ্যায় বাঙ্গলাতে ফিরিলাম । • পর দিন সীতাকুণ্ড ষ্টেশন হইতে ৩ মাইল পূর্বে রেল গাড়ীতে “বাড়বাকুণ্ড” নামক ষ্টেশনে গেলাম। সেখান হইতে প্রায় ১ মাইল পথ হাটিয়া “বাড়বকুণ্ড” নামক এক অদ্ভুত কুণ্ড দেখিতে গেলাম। ইহাও সীতাকুণ্ড বা চন্দ্রনাথ পাহাড়েরই Extension, কিছু পূর্বদিকে। ক্রমে ক্রমে উচ্চে উঠিলাম। একটা অনুচ্চ শৃঙ্গের উপরিভাগে এই কুণ্ড । ইষ্টক নিৰ্ম্মিত দেয়াল দ্বারা ঘেরা। বেশ গভীর বলিয়া মনে হইল। এই কুণ্ডের মাঝখানে বিভিন্ন স্থানে সৰ্ব্বদাই দাউ দাউ করিয়া জলের উপর অগ্নি জলিতেছে। কি বিচিত্র দৃশ্ব ! পাশ্বের জলে হাত দিয়া দেখিলাম জল তত উষ্ণ নয়। কোন কোন যাত্রী সেই কুণ্ডের পাশ্বে নামিয়া স্নানও করিল। আমরা স্নান করিলাম না। এই কুণ্ড হইতে নিয়ত জলধারা একট নাল দিয়া প্রবাহিত হইয়া নিম্নদিকে যাইতেছে। এখানেও একটা শিবের মন্দির অাছে। পাণ্ডাও আছে। তাহাদিগকে কিছু পয়সা দিলাম। প্রায় ২ ঘণ্টাকাল এই বিচিত্র দৃশ্য । দেখিয়া হাটিয়া বাড়বাকুণ্ড ষ্টেশনে ফিরিলাম এরং তথা হইতে ট্রেইনে সীতাকুণ্ড গেলাম। সীতাকুণ্ডে শ্ৰীযুক্ত হরকিশোর Hද -