পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬০ ডেপুটীর জীবন। পাইয়াছিলেন। তিনি আমাকে বেশ প্রীতির চক্ষে দেখিতেন। আমার মত অপর একটী ব্রাহ্মণ ছাত্রও র্তাহার ওখানে থাকিয়৷ আহার পাইতেন। প্রথম দিন মধ্যাহ্ল আহারের সময় বনোয়ারী বাবুর সহিত একত্রে বসিয়াছি। নানাপ্রকার ব্যঞ্জনাদির সহিত থালে ভাত পরিবেশিত হইয়াছে। ‘কালিজিরা’ নামক সুগন্ধ, অতি সরু চাউলের অল্প অন্ন ( বোধ হয় ১ং ছটাক চাউলের হইবে ) প্রত্যেকের পাতে। বনোয়ার বাবু তারও সমস্তটা অন্ন খাইতে পারিলেন না। আমি এক নিঃশ্বাসে সমস্ত অন্ন উদরসাৎ করিলাম। পাচক আর ভাত লাগিবে কি না জিজ্ঞাসা করিল। আমি আরও অল্প ভাত লজ্জার সহিত লইলাম। কিন্তু ইহাতে আমার সম্যক ক্ষুধা-নিবৃত্তি হইল না । আহাৰ্য্যের ভিতর হাস কিংবা পায়রার মাংসও এক বাটীতে ছিল। বনোয়ারী বাবু প্রতিদিনই প্রায় দুই বেলা ঐ জাতীয় মাংস খাইতেন। র্তাহার বাসাতে ২৫/৩০টা হাস ও পায়রা সর্ববদা জমা থাকিত । রাত্রিতেও ঐরূপ আহার । আমার ক্ষুধা কিছু কিছু থাকিয়া যায় । আমি পরে গোপনে জলখাবার খাইয়া সেটুক মিটাই। দুই দিন গত হওয়ার পর, যখন একসঙ্গে আহার করিতেছি, তখন বনোয়ারী বাবুর সাক্ষাতেই পামি পাচককে বলিলাম, “ঠাকুর, আমার জন্য আপনারা যেরূপ মোট চাউল খান, সেই ভাত, দিবেন।” বনোয়ারী বাবু বলিলেন, “এইভাতে আপনার ক্ষুধা, নিবৃত্ত হয় না, বেশী চাউল নিলেই হইতে পারে।” ঠাকুরকে বলিলেন, “ইহঁাকে বেশী ভাত দিবে, কালীজিরার চাউলই বেশী