পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ অঃ ] শীলভদ্র । Ե Գ - তর্ক যুদ্ধ করিবার নিমিত্ত, মগধ রাজ্যে আগমন করিয়াছিলেন। পণ্ডিতবর সভায় উপনীত হইয়া বলিলেন, “আমি দাক্ষিণাত্যবাসী, এই রাজ্যের একজন অসাধারণ শাস্ত্র-জ্ঞান-সম্পন্ন মনীষীর বিষয় শ্রুত হইয়াছি ; আমি "অজ্ঞ, তথাপি তাহার সহিত শাস্ত্রালোচনা করিতে ইচ্ছা করি।” এই বাক্য শ্রবণ করিয়া মগধরাজ বলিলেন, "হুঁ, এখানে অশেষ মনীষা সম্পন্ন একজন শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত আছেন বটে।” এই কথা বলিয়াই রাজা আচাৰ্য্য ধৰ্ম্মপালের নিকট বলিয়া পাঠাইলেন, “দাক্ষিণাত্যবাসী একজন পণ্ডিত বহুদূর দেশান্তর হইতে আপনার সহিত শাস্ত্রের বিচার করিতে এইস্থানে আগমন করিয়াছেন, আপনি অনুগ্রহ পূৰ্ব্বক রাজসভার আসিয়া তাহার সহিত শাস্ত্রালাপ করিবেন কি ?” আচার্য ধৰ্ম্মপাল মগধরাজের আমন্ত্রণ প্রাপ্ত হইয়া, অগোঁণে রাজসমীপে উপনীত হইবার জন্তু উদ্যোগ করিলেন। এই সময়ে তদীয় প্রধান শিষ্য শীলভদ্র-প্রমুখ অপরাপর শিষ্য-মণ্ডলী তাহাকে চারিদিকে পরিবেষ্টন করিলেন। প্রধান শিষ্য শীলভদ্র বিনয়নম্র বচনে জিজ্ঞাসা করিলেন, “গুরুদেব আপনি এত তাড়াতাড়ি কোথায় ৰাইতেছেন?” ধৰ্ম্মপাল উত্তর করিলেন, “জ্ঞান-স্বৰ্য্য অস্তমিত হইবার পর (অর্থাৎ ভগবান বুদ্ধদেবের মহাপরিনিৰ্ব্বাণের পরে ) উত্তরাধিকার স্বত্রে প্রাপ্ত তদীয় প্রচারিত ধৰ্ম্মমতের একটি মাত্র প্রদীপ ধীরভাবে জলিতেছে, ধৰ্ম্ম-বিরোধী পণ্ডিত-কীট-সমূহ মেঘখণ্ডের ন্যার উদিত হইয়াছে, সুতরাং আমি উহার একটিকে তর্কযুদ্ধে ধ্বংস করিবার জন্য যাইতেছি।” শীলভদ্র গুরুদেবের উত্তর শ্রবণ করিয়া বলিলেন, “আমি নানাপ্রকার শাস্ত্রালোচনায় যোগদান করিয়াছি, এই বিধর্মীকে পরাভূত করিবার জন্য আমাকেই অনুমতি প্রদান করুন।” আচাৰ্য্য ধৰ্ম্মপাল শীলভদ্রের পূৰ্ব্ব-বিবরণ সমুদয় পরিজ্ঞাত ছিলেন বলিয় তাহাকে সেই তর্কযুদ্ধে প্রবৃত্ত হইবার জন্য অনুমতি করিলেন। কিন্তু এই সময়ে শীলভদ্রের বয়ঃক্রম