$$$్చ ঢাকার ইতিহাস। [২য় খণ্ড । এই “রাষ্ট্ৰীয় কুলমঞ্জরী” গ্রন্থ হইতে তিনি যে আর একটি অভিনব তথ্য আহরণ করিয়াছেন তাহা এই— ‘বেদবাণাদশাকেতুনৃপোহভূক্ষাদিশূরকঃ! ৰম্বকৰ্ম্মাঙ্গকে শাকে গৌড়ে বিপ্রাঃ সমাগতাঃ” ॥ অর্থাৎ ৬৫৪ শাকে আদিশূর রাজা হন, এবং ৬৬৮ শাকে সাগ্নিক বিপ্রগণ গৌড়ে আগমন করেন। কিন্তু এই বচনটি ব্রাহ্মণকাণ্ডে" উদ্ভূত হয় নাই কেন তাহ কৌতুহল জনক । “রাঢ়ীয় কুলমঞ্জরীর” উপরোক্ত বচনটি ৮বংশীবদন বিস্কারত্ব মহাশয়ের দৃষ্টিপথই বা অতিক্ৰম করিয়াছিল কেন তাহাও বুঝিতে পারা যায় না । সম্প্রতি শ্রদ্ধের প্রযুক্ত রমাপ্রসাদ চন মহাশয় কলিকাতা সাহিত্যসভায় "আদিশূর” শীর্ষক একটি প্রবন্ধ পাঠ করিয়াছেন। তাহাতে জানা গিয়াছে যে, বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির কর্তৃপক্ষ, রাঢ়ীয় কুলমঞ্জরী-বৃত্ত বচন দুইটির পাঠগুদ্ধি বিষয়ে সংশয়ান্বিত হইয়া উহার যাথার্থ নিরূপণ জন্য সমিতির সহকারী পুস্তক রক্ষক ষ্ট্ৰীযুক্ত পুরনার কাব্যতীর্থকে ব্রাহ্মণডাঙ্গায় প্রেরণ করিয়াছিলেন । কাব্যতীর্থ মহাশয় vবংশীবদন বিদ্যারত্ব ঘটকের গোত্র ঐযুক্ত মণিমোহন ঘটকের বাড়ী হইতে “কুলদোষ” নামক একখানি প্রাচীন পুস্তক সংগ্ৰহ করিয়াছেন। ঐযুক্ত রমাপ্রসাদ চন্ধ মহাশয় বলেন, “এই কুল দোষ গ্ৰন্থই যে ঐযুক্ত নগেন্দ্ৰ নাথ বস্থ প্রাচ্যবিস্তামহার্ণব কর্তৃক “ব্রাহ্মণকাণ্ডে” বংশীবদন ৰিভারত্ব সংগৃহীত “কুল-- পঞ্জিকা" বা “ফুলকারিকা" নামে অভিহিত এবং রাজন্তকাণ্ডে “রাষ্ট্ৰীয় কুলমঞ্জরী” নামে অভিহিত, তাহার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়৷ বাইতেছে। কিন্তু এই গ্রন্থে ৰক্ষ মহাশয় ধৃত—