পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম অঃ ] আদিশূর ও জয়ন্ত । >>\^ বেদ বাণাঙ্গ শাকেতু নৃপোহভূক্ষাদি পূরকঃ। বক্ষ কশ্বঙ্গিকে শাকে গৌড়ে বিপ্রাঃ সমাগতাঃ” ৷ দেখিতে পাওয়া যায় না । ২য় পৃষ্ঠায় এই বচনটি আছে— ‘বেদৰণিাঙ্ক শাকেতু গৌড়ে বিপ্রাঃ সমাগতাঃ” । “কুলদোষ গ্রন্থে নগেন্দ্র বাবুর উদ্ধত "ভূপূরেণ চ রাজ্ঞাপি শ্ৰীজয়ন্ত স্বতেন চ” বচন নাই, আছে— “ভূপূরেণ চ রাজ্ঞাপি আদিশূর স্থতেন চ। নামাপি দেশভেদৈত্ত রাঢ়ী বারেন্দ্র সাতশতী” । এই গ্রন্থে আদিশূরের কালজ্ঞাপক ও বঙ্গে ব্রাহ্মণাগমনের সময় নির্দেশক শ্লোক পরিলক্ষিত হয় না । ইহার পরিবর্তে নিম্নলিখিত শ্লোকটী দেখিতে পাওয়া যায়—

  • ক্ষত্রিয় বংশে সমুখপন্নে মাধবো কুলসস্তবঃ। বহুধৰ্ম্মাইকে শাকে নৃপ (বো ) ভু (ভূ) চাদিশূরকঃ” ॥ কিন্তু বংশীবদন বিদ্যারত্বের বাড়ীতে “কুলমঞ্জরী” গ্রন্থ খুজিয়া পাওয়া বায় নাই। সুতরাং বংশীবদন বিদ্যারত্বের ঘরের পুস্তকের দোহাই দিয়া আদিশূর ও জয়ন্ত অভিন্ন বলা চলে না, এবং ৬৬৮ শকাব্দে গৌড়ে ব্রাহ্মণ আগমন করিয়াছিলেন এ কথাও বলা চলে না” । যখন রাঢ়ীয় কুলমঞ্জরী গ্রন্থ উক্ত বিস্কারত্ব ঘটকের বাড়ীতে খুজিয়া পাওয়া যায় নাই, তখন ঐ গ্রন্থের অস্তিত্ব সম্বন্ধেই সন্দেহ জন্মিতেছে। সুতরাং উক্ত গ্রন্থ হইতে উদ্ধৃত বচন প্রমাণ স্বরূপে গৃহীত হইতে পারে না ! কুলদোষ গ্রন্থে আদিশূর ও জয়স্তের একত্ব প্রতিপাদক কোনই প্রমাণ নাই। সুতরাং ইহারা অভিন্ন

ছিলেন বলিয়া যে তথাকথিত প্রমাণ আবিষ্ক ত হইয়াছে, তাহ ভিত্ত্বিহীন। br