পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>७भे. ঢাকায় ইতিহাস । [ ২য় খণ্ড । লিখিত হয় নাই। তৎকালে গৌড়রাজ্য বলিতে গৌড় ও বঙ্গ এই উভয় প্রদেশই বুঝাইত। রামদেবের “বৈদিক কুলমঞ্জরী” গ্রন্থে সামলবৰ্ম্ম সম্বন্ধে লিখিত হইয়াছে যে, তিনি “গোঁড়ান্তর্গত কান্ত বিক্রমপুরোপান্তে পুরী” নিন্মাণ করিয়াছিলেন। অপরাপর কুলগ্রন্থ সমূহেও এরূপ দৃষ্টান্তের অসদ্ভাব নাই। বীরেন্দ্রকুলপঞ্জীতে লিখিত গৌড় শব্দ নগরার্থে ব্যবহৃত না হইয়। প্রদেশার্থেই ব্যবহৃত হইয়াছে। গঙ্গা বা পদ্মা গৌড় বঙ্গের বক্ষোদেশ ভেদ করিয়াই সাগরের সহিত মিলিত হইয়াছে, সুতরাং গৌড় ও বঙ্গ যে মুরসরিদবধৌত তদ্বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই। গঙ্গার প্রবাহ ষে বহু পশ্চিমে সরিয়া পড়িয়াছে, তাহ অনেক মনীষিই স্থির সিদ্ধান্ত করিয়াছেন। মেজর রেণেল, বুকানন হেমিণ্টন প্রভৃতি পণ্ডিতগণ মধুপুরের পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিমস্থ নিম্নভূমি গঙ্গার প্রাচীন খাত বলিয়া সিদ্ধান্ত করিয়াছেন। অতি প্রাচীনকালে রাজশাহীর চলন বিলে এবং ঢাকার আইরল বিলেই গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গম ঘটিয়াছিল। এবিষয় ঢাকার ইতিহাস প্রথম খণ্ডে বিস্তৃত ভাবে আলোচিত হইয়াছে, এই স্থলে তাহার পুনরূল্লেখ নিম্প্রয়োজন। সুতরাং “মুরসরিদবধৌতপাদ” প্রমাণের বলে আদিশূরের রাজধানীকে পশ্চিম বঙ্গে নেওয়া চলে না । ধৃষ্টিয় অষ্টম শতাব্দীর তৃতীয়পাদ হইতে একাদশ শতাব্দীর অন্ত পৰ্য্যন্ত গোঁড় মঙলে পালরাজ গণের প্রাধান্ত সুপ্রতিষ্ঠিত ছিল। এই সময়ের মধ্যে শূররাজের প্রাচ্য ভারতে সাৰ্ব্বভৌমত্ব লাভের অবসর ছিল না। আবার বাকৃপতি রাজের ‘গৌড়বহে|” কাব্য হইতে জানা যায় যে অষ্টম শতাব্দীর প্রথম পাদে মগধেশ্বর শশাঙ্ক-প্রবর্তিত উত্তর পার্থের পুৰ্ব্বাংশের অধিপতি "গোঁড়াধিপ" উপাধিতে ভুষিত ছিলেন। সুতরাং তৎকালে গৌড় মগুল যে মগধাধিপতির করায়ত্ত ছিল তদ্বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই । যশোৰক্ষার প্রতিদ্বন্দী এই "পঞ্জিক” গৌড়রাজ মালার লেখক আদিত্য