পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২৮ ঢাকার ইতিহাস । [ ২য় খণ্ড মহীপালের ঔদাসীন্যের আলোচনা করিলে মনে হয়, কলিঙ্গ জয়ের পর মৌর্ঘ্য অশোকের ন্যায় [ কাম্বোঙ্গাস্বয়জ গৌড়পতির কবল হইতে ] বরেন্দ্র উদ্ধার করিয়া, মহীপালেরও বৈরাগ্য উপস্থিত হইয়াছিল, এবং অশোকের ন্যায় মহীপালও যুদ্ধ বিগ্ৰহ পরিত্যাগ করিয়া পরহিতকর এবং পারত্রিক কল্যাণকর কৰ্ম্মানুষ্ঠানে জীবন উৎসর্গ করিতে কুতসঙ্কল্প হইয়াছিলেন। বারাণসীধামকে কীৰ্ত্তিরত্বে সজ্জিত করিতে গিয়া, মহীপাল এমনই তন্ময় হইয় পড়িয়া ছিলেন যে, আধ্যাবর্তের অপরাদ্ধের তীর্থক্ষেত্রের কীৰ্ত্তিরত্বের কি দশা হইতেছিল, সে দিকে দৃকৃপাত করিবার ও তাহার অবসর ছিল না” । শ্ৰীযুক্ত নগেন্দ্ৰ নাথ বন্ধ লিখিয়ছেন (১), “বাস্তবিক তখন মহীপালের বৈরাগ্যের উপযুক্ত কাল উপস্থিত হয় নাই। তখনও রাজেন্দ্র চোল রাঢ়দেশে পদার্পণ করেন নাই, তখনও মহীপাল আপন পৈতৃক সম্পদ উদ্ধারে ব্রতী ছিলেন, তখনও তিনি নানাবিধ উপায়ে নিজের গৌড়রাজ্য রক্ষায় মনোযোগী ছিলেন, বিশেষতঃ যে কালঞ্জর পতি তাহার পিতামাতাকে বন্দী করিয়া লইয়া গিয়াছিলেন, তাহার সহিত মিত্রত ও একতাস্থাপন করিয়া বৈদেশিক শত্রুর আক্রমণ হইতে উত্তরাপথ রক্ষা করিতে যাওয়া কখনই তিনি উপযুক্ত মনে করেন নাই।” ঐযুক্ত রাখাল দাস বন্দোপাধ্যায় বলিয়াছেন (২), ‘চন্জ মহাশয় বৈরাগ্যের যুক্তি দেখাইয়া মহীপালের কাপুরুষতা ও সঙ্কীর্ণ চিত্তত গোপন করিবার চেষ্টা করিয়াছেন । বস্তুতঃ মহীপালের ঔদাসীন্যের কোনই উপযুক্ত কারণ দেখিতে পাওয়া যায় না, কাপুরুষতাও ঈর্ষাই যে মহীপালের ধৰ্ম্মযুদ্ধের প্রতি ঔদাসীন্যের প্রধান কারণ, সে বিষয়ে কোনই সম্মেহ । (১) ৰঙ্গের জাতীয় ইতিহাস-রাক্তন কাগু ১৭৬ পৃষ্ঠা। (২) বাঙ্গলার ইতিহাস, ঐরাখাল দাম বঙ্গোপাধ্যায় প্রণীত ২২৮ পুষ্ট ।