পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૪૨ ঢাকার ইতিহাস । [२ग्न १७ সংগ্রামে বিজিত করিলেন। অতঃপর, বঙ্গ-রাজ্যাভিমুখে ধাবমান হইয়া তিনি, মহারাজ সমুদ্রসেন ও চন্দ্রসেনকে, তাম্রলিপ্ত ও কর্কটাধিপতি, স্বন্ধপতি ও পৰ্ব্বতবাসী নরপতিগণকে জয় করিয়া সমুদয় স্লেচ্ছদিগকেও পরাভূত করিলেন ।” উল্লিখিত বিবরণ পাঠে স্পষ্টই প্রতীয়মান হয়, ভীমসেন যে বঙ্গাধিপতি সমুদ্রসেনকে সমরে পরাজিত করিয়াছিলেন, উহার পূর্ববঙ্গেরই অধীশ্বর ছিলেন। কারণ, ভীমসেন পুণ্ড, ও কৌশিকীকচ্ছ প্রদেশ অতিক্রম করিয়াই বঙ্গরাজ্যে প্রবেশ লাভ করিয়াছিলেন, এবং পরে তথা হইতে দক্ষিণবঙ্গ দিয়া প্রত্যাবৰ্ত্তন করিবার সময়েই তাম্রলিপ্তি, কর্কটও স্বহ্মদেশ জয় করিয়াছিলেন। মহাভারতের অশ্বমেধপর্কে লিখিত আছে, অর্জুন সমুদ্রতীরস্থিত বাঙ্গালী গকে যুদ্ধে পরাজিত করিয়াছিলেন ; যথা :– “ততে যধেষ্টমগমৎ পুনরেব স কেশরী । ততঃ সমুদ্রতীরে বঙ্গানু পুণ্ডন্‌ িসকোশলা ॥ তত্ৰ তত্ৰ চ ভূরাণি স্লেচ্ছ-সৈন্তান্তনেকশ । বিজিষো ধনুষ রাজন্‌ গাওঁীবেন ধনঞ্জয়ঃ”। ভয়পর্কে লিখিত আছে, বঙ্গ-শোধিপতি কার্শ্বকে শর-সংযোগ করিয়া মুহূমুহ সিংহনাদ করত: মমবারিযুক্ত পৰ্ব্বতাকার দশসহস্র হস্তী লইয়া ভীষননান ঘটোৎকচের পশ্চাৎ ধাবমান হইলেন। পরে তিনি ঘটোৎকচ-নিক্ষিপ্ত শক্তি নামক অস্ত্র দর্শন করিয়া, অতি সম্বর পর্বতাকার হস্তীকে ঘটোৎকচের প্রতি চালাইলেন এবং সেই হস্তী দ্বারা ভীমভনয়ের রথখানিরও রোধ করিলেন। বদরাজ স্বীয় মদমত্ত বারণ আর দুৰ্য্যোধনের রখ আবরণ না করিলে, ভীমননান মহাবীর ঘটোৎকচের শক্তি অন্ত্রে তাহার প্রাণনাশের সম্ভাবনা ছিল । অৰ্জুন প্রতিঙ্গভঙ্গ-জনিত পাপক্ষার্থ তীৰ্থ পৰ্যটনে বহির্গত হইয়া দ্বাদশ