পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ম জঃ ] কৌলীন্যপ্রখা। W26). গোপালভট্ট বিরচিত মূল বল্লাল চরিতে ইহার কোনও উল্লেখ নাই । আনন্যভট্ট গোপালভট্টের বহুপরে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। তিনি কোন প্রমাণের বলে ইহা লিপিবদ্ধ করিয়াছেন তাহ জানা যায় না। সুতরাং পরবর্তী কালে রচিত আনন্দ ভট্টের উক্তির উপর আস্থা স্থাপন করা সঙ্গত নহে। সকলেই বলিয়া থাকেন যে মহারাজ বল্লাল সেনই বঙ্গদেশে কৌলীন্ত প্রথার প্রবর্তক। এ কথা কতদূর সত্য তাহ বলা যায় না। এ পর্য্যস্ত সেনরাজ গণের প্রদত্ত যে কয়খানি তাম্রশাসন আবিষ্কৃত হইয়াছে তাহাতে ইহার কোনও উল্লেখ অথবা আভাসও প্রাপ্ত হওয়া যায় না। ঐযুক্ত রাখাল দাস বলোপ:ধয়ে মহাশয় বলেন, “বল্লালসেন, লক্ষ্মণসেন, কেশবসেন ও বিশ্বরূপ সেনের তাম্রশাসন সমূহে তাম্রশাসন গ্রাহী ব্রাহ্মণ গণের উল্লেখকালে বল্লালসেন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত কৌলীন্যপ্রথা। আভিজাত্যের কোন কথাই নাই। বল্লালসেন शनि cशोफ़ यत्रौञ्च गमारब यहेक्रग ८कान नूडन বিপ্লবের স্বষ্টি করিয়া থাকিতেন তাহা হইলে নিশ্চয়ই তাহার কথা তাম্রপট্টে উৎকীর্ণ হইত। হয়ত যলাল সেনের ১১শ রাজ্যাঙ্কের পরে এই নূতন অভিজাত সম্প্রদায়ের স্বষ্টি হইয়াছিল, কিন্তু তাহা হইলে লক্ষ্মণসেনের তাম্রশাসন-চতুষ্টয়ে এবং কেশব সেন এবং বিশ্বরূপ সেনের তাম্রশাসনে তাহার উল্লেখ পাওয়া যায় না কেন ? • • • • বল্লালসেন সত্যই কৌলিন্ত প্রথার প্রতিষ্ঠাতা কিনা তাহার সত্য প্রমাণ অদ্যাপি জাবিষ্কৃত হয় নাই। কৌলিন্ত প্রথা সম্ভবতঃ মুসলমান বিজয়ের বহু শতাব্দী পরে কয়েকজন ব্রাহ্মণ কর্তৃক সৃষ্ট হইয়াছিল। যদি কোন দিন প্রমাণ হয় যে সত্য সত্যই বল্লাল সেনের সময়ে কৌলিন্ত প্রথার প্রতিষ্ঠা হইয়াছিল তাছা হইলে বুৰিতে হইবে যে প্রাচীন অভিজাত সম্প্রদাকে বৌদ্ধধৰ্ম্মাম্বুরাগী ও প্রাচীন পাল রাজবংশের পক্ষপাতী দেখিয়া ৰিজন্ম সেন