8ல் ம ঢাকার ইতিহাস । [ २ध्र १७ করিয়া গুপ্ত বার্তার সংগ্ৰহ করিত। তিনি বলেন “চট্ট শব্দে চাটগt অঞ্চলের ও ভট্ট শব্দে ভূটান অঞ্চলের লোকদিগকে লক্ষ্য করা হইয়াছে, চাটিগ ও ভুটান অঞ্চলের লোক রাজ্যে প্রবেশ করির উৎপাত কল্পিত”। এই অনুমান সঙ্গত বলির মনে হয় না। কারণ চট্টগ্রাম ও ভুটান অঞ্চল যে বঙ্গীর সাম্রাজ্যের অন্তভুক্ত ছিল তাহার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় না। সুতরাং সীমাস্তবাসী জনগণ, ভিন্ন রাজার আজ্ঞা পালন করিবে কেন ? ডাক্তার ভোগেল “চার” শব্দ হইতে চাট বা চট্ট শব্দ আসিয়াছে মনে করিয়া, যে “চার” (পরগণাধিপতি ) শ্রমজীবিদিগকে একত্র করিয়া দিত এবং দণ্ডনীয় অপরাধের নিবারণ করিত, চাট শব্দ দ্বারা তাহাকেই বুঝিতে হইবে, বলিয়াছেন। বৃহদারণ্যকোপনিষদ ভায্যের দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রথম ব্রাহ্মণের শেষ অংশের আননগিরি কৃত টীকায় লিখিত আছে – - “তন্মাৎ তার্কিক চাট ভাট রাজা প্রবেশ্যং দুর্গমিদম্। অল্পবুদ্ধ্যগম্যং শাস্ত্র গুরু প্রসাদ রছিতৈশ্চ”। আনন্দগিরি বলেন, “আৰ্য্য মৰ্য্যাদাং ভিলানাশ্চাটা বিবক্ষ্যতে ভাটাস্তু সেবক মিথ্যাভাষিণঃ তেষাং সৰ্ব্বেষাং রাজানস্তার্কিকান্তৈরপ্রবেণ্ড মনাক্রমণীয় মিদং ব্ৰহ্মাত্মৈকত্ব ইতি যাবৎ"। আনন্দগিরির উক্তিতে বোধ হয়, চাট কোন অনার্য্য দুর্দান্ত বস্ত জাতির নাম এবং ভাটশব্দে মিখাtভাষী রাজসেবককে বুঝাইয়া থাকে। বহূি পুরাণে পাগুপত জানাধ্যায়ে লিখিত আছে – “চাট চারণ চৌক্ষেত্যে বধ বন্ধ ভয়াদিতিঃ । পীড্যমানঃ প্রজা রক্ষেৎ কান্নস্থৈশ বিশেষতঃ ॥ চাটীঃ প্রতারকাঃ বিশ্বাস্ত ৰে পল্লখনং অপহরজি"। জিতাক্ষরানামাচারাধ্যায়ঃ।
